আজ দুপুরের পর থেকে কাতার বিশ্বকাপে খানিকটা গুমোট ভাব। মেইন প্রেস সেন্টারে সব সময়ই কর্মচাঞ্চল্য লেগে থাকে। বিশ্বকাপের নানা খবর তুলে আনতে থাকে সংবাদকর্মীদের প্রাণান্ত চেষ্টা। সেই চাঞ্চল্যতার মধ্যে আজ ভর করেছে উৎকণ্ঠা। যে কোনো সময় খবর আসতে পারে পেলে আর নেই! অনেক সাংবাদিক মানসিক প্রস্তুতিও নিয়েছেন।

এই বিশ্বকাপ কাভার করতে ব্রাজিল থেকে এসেছেন অনেক সাংবাদিক। আগামী পরশু দিন দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় রাউন্ড ম্যাচ। ব্রাজিল ও দক্ষিণ কোরিয়ার অনুশীলনের চেয়ে তাদের অনেককে দেখা গেল সাও পাওলোতে যোগাযোগ করতে। সবাই ব্যস্ত পেলের সর্বশেষ অবস্থা জানতে। ব্রাজিল সাংবাদিকরা দোহায় অবস্থান করলেও মানসিকভাবে যেন সাও পাওলোতে। সাংবাদিকদেরই যখন এই অবস্থা তখন ব্রাজিল শিবিরের অবস্থা অনেকটাই অনুমেয়।

আরও পড়ুন >> পেলের অবস্থার আরও অবনতি, দেওয়া হচ্ছে ‘জীবনের শেষ চিকিৎসা’

পেলে তো শুধু ব্রাজিলের নন, পুরো ফুটবল বিশ্বের। আর্জেন্টিনার অনেক পাঁড় ম্যারাডোনা ভক্তও পেলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আর্জেন্টাইন সমর্থকরাও পেলের খোজ রাখতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ঘাঁটাঘাঁটি করছেন। আয়োজক কাতার কিছু দিন আগে রাজধানী দোহায় বড় এক স্ক্রিনে পেলের ছবি দিয়ে সুস্থতা কামনা করেছে। অন্য দেশের সাংবাদিকরাও বিশ্বকাপের খবর ও পেলের আপডেট সমান প্রাধান্য দিচ্ছেন।

অঘটনের বিশ্বকাপে কেউ হাসছেন, কেউ আবার কাঁদছেন। সেই সব কিছু ছাপিয়ে এখন মনোযোগে রয়েছে পেলের অসুস্থতা। বৈশ্বিকভাবে ফুটবলকে জনপ্রিয় করার পেছনে পেলের অবদান অপরিসীম। ১৯৫৮, ৬২ ও ৭০ সালে পেলে ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন।  

এজেড/এনইউ