বিশ্বখ্যাত ধারাভাষ্যকারের আগ্রহ বাংলাদেশ নিয়ে
আর্জেন্টিনা-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ শেষে ধীরে ধীরে সবাই স্টেডিয়াম ছাড়ছে। দর্শকদের লাইনে দাড়িয়েই স্টেডিয়াম ত্যাগ করছিলেন বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম ধারাভাষ্যকার পিটার ডুরি। জনপ্রিয় এই ধারাভাষ্যকারকে কাছে পেয়ে সাংবাদিকদের জটলা বাধে।
ধারাভাষ্যকার হিসেবে অনেক ম্যাচের বর্ণনা দিয়েছেন। কোন ম্যাচ সেরা? এই প্রশ্ন করতে দেরি হলেও উত্তর দিতে পিটারের দেরি হয়নি, ‘অ্যাগুয়েরো ম্যাচ।’ ইনজুরি সময়ের গোলে ম্যানচেস্টার সিটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। টানটান উত্তেজনাপূর্ণ সেই ম্যাচকে ইংলিশ লিগের ইতিহাসেরও অন্যতম সেরা ম্যাচ বলা হয়। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড সার্জিও অ্যাগুয়েরোর গোলে ম্যানসিটি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তাই সেই ম্যাচ ও সময়কে অ্যাগুয়েরো টাইম বা ম্যাচ বলা হয়।
অ্যাগুয়েরো বলার পর উপস্থিত বাংলাদেশের সাংবাদিকরা বললেন, অ্যাগুয়েরো এবং আর্জেন্টিনার অনেক সমর্থক বাংলাদেশে। পরক্ষণেই পিটার ডুরি জানতে চাইলেন, ‘বাংলাদেশের ফুটবল কেমন চলছে? বিশ্বকাপে আসতে কেমন সময় লাগবে?’ ফিফার র্যাংকিংয়ে ১৯২তম অবস্থান বাংলাদেশের। বিশ্বকাপের এশিয়া অঞ্চলের বাছাই ও প্রাক বাছাই খেলা বাংলাদেশের বিশ্বকাপ খেলা অনেক দূরের স্বপ্ন হলেও সাংবাদিকদের ভদ্রতার খাতিরে বলতে হলো, ‘ফুটবল নিয়ে আমাদের চেষ্টা চলছে।’
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক কোচ ছিলেন বৃটিশ জেমি ডে। তিনি বছর তার অধীনে খেলেছে বাংলাদেশ। এই তথ্য জানার পর বেশ খুশিই হলেন বিশ্বের অন্যতম তারকা ধারাভাষ্যকার, ‘বাহ দারুণ।’
পিটার ডুরিকে বর্তমান সময়ের ফুটবলের কন্ঠস্বর বলা হয়। তার ধারাভাষ্য খুবই উপভোগ্য। সুন্দর কন্ঠের সঙ্গে তথ্য, পরিসংখ্যান এবং রসিকতার সংমিশ্রণে ফুটবল বিশ্বে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে মাঠের প্রতিদ্বন্দ্বিতা এমনিতেই বিখ্যাত। তার ধারাভাষ্যে ইংল্যান্ডের লিগ ছিল আরো উপভোগ্য। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অসংখ্য ম্যাচে ধারাভাষ্য দিয়েছেন। জাতীয় দলের ম্যাচেও তার ধারাভাষ্যের সংখ্যা অনেক। ফিফা বিশ্বকাপেও কমেন্ট্রি করছেন এই ইংলিশ ধারাভাষ্যকার।
বিজ্ঞাপন
এজেড/এনইআর