এবারের বিশ্বকাপের শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে আছে ব্রাজিল। গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই শেষ ষোল নিশ্চিত করার পর নকআউটেও বড় জয় পেয়েছে সেলেসাওরা। সোমবার কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। তাই এমন জয়ে উদযাপনের উপলক্ষ্য তো থাকছেই। 

দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে শুরু থেকেই দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে ব্রাজিল। ম্যাচ শুরুর ১২ মিনিটের মধ্যেই স্কোরলাইনটা ২-০ তে নিয়ে যান নেইমার- ভিনিসিয়াসরা। এরপরও থামেনি তাদের গোলবন্যা। প্রথমার্ধেই ৪ গোল করে জয় অনেকটা নিশ্চিতই করে ফেলে তারা। 

গোল উৎসবের এ ম্যাচে প্রতিটি গোলের পরেই সাম্বার তালে নেচে উৎসব করেছেন ব্রাজিল ফুটবলাররা। গোল করার পর সাইডলাইনের কাছে গিয়ে হাত এবং কোমর দুলিয়ে নাচেন নেইমাররা। এমনকি ম্যাচের তৃতীয় গোলের পর কোচও তাদের সঙ্গ দেন। 

ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী এক নাচের নাম সাম্বা। উৎসব-অনুষ্ঠান কিংবা যেকোনো পার্বন এই নাচে উদযাপন করে তারা। সেটাই হয়েছে কালকের ম্যাচে। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারদের এমন উদযাপন পছন্দ হয়নি রয় কিনের। আয়ারল্যান্ডের সাবেক ফুটবলারের মতে, ওই নাচের মাধ্যমে অশ্রদ্ধা করা হয়েছে বিপক্ষকে।

মঙ্গলবার এক টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে কিন বলেছেন, ‘ওদের সংস্কৃতির ব্যাপারে সম্প্রতি এনি আলুকো (অনুষ্ঠানে উপস্থিত আরেক বিশেষজ্ঞ) কথা বলেছেন। তবে আমার মনে হয়, এই নাচ বিপক্ষকে অশ্রদ্ধা করার শামিল। ৪-০ হয়ে গিয়েছে। প্রতি বার ওরা একই কাজ করছে। প্রথম বার করার পর আমারও খারাপ লাগেনি। তার পরে আবার করল। ওদের কোচও যোগ দিল। আমার দেখে একদম ভাল লাগেনি। খুব একটা ভাল উদাহরণ হয়ে থাকল না ঘটনাটা।’

তবে কিনের এ বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন স্কটল্যান্ডের সাবেক ফুটবলার অ্যালি ম্যাকয়েস্ট। তিনি বলেন, ‘রয়ের কথা আমি বুঝতে পেরেছি। কিন্তু আমার তো দেখে কোনও ভাবেই ওটা খারাপ মনে হয়নি। বিশেষত যেখানে ব্রাজিলিয়ানরা খেলতে নেমেছে। ওদের এ কাজ করা উচিত নয়, এটা বলা ভুল। যে ভাবে তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিপক্ষকে ছিন্নভিন্ন করেছে, তাদের এটা মানায়। কোনো ভুল করেনি সাম্বা নেচে।’