ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদোর সঙ্গে হন্ডুরাসের সাংবাদিক জেসুস ভেলেজ

কাতার বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে একই দিন নামবে দুই জায়ান্ট আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস আর ব্রাজিলের ক্রোয়েশিয়া। শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় মেসিদের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস, এই সূচি হওয়ার পর থেকেই আলোচনায় ১৯৭৮ সালের সেই ফাইনাল। 

স্বাগতিক আর্জেন্টিনা ১৯৭৮ সালে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আর্জেন্টিনার প্রথম বিশ্বকাপ ট্রফি জয় নিয়ে অনেক প্রভাব খাটিয়ে সুবিধা নেয়ার অভিযোগের কথাও রয়েছে। সেই বিশ্বকাপ কাভার করেছিলেন হন্ডুরাসের সাংবাদিক জেসুস ভেলেজ। ১৯৭০ সাল থেকে তিনি বিশ্বকাপ কাভার করে আসছেন।

৭৮ সালের আর্জেন্টিনা হল্যান্ড ফাইনাল ম্যাচেও ছিলেন তিনি। ৪৪ বছর আগের ঘটনা স্মরণ করলেন এভাবে, ‘ফাইনালে মূল চরিত্র মারিও ক্যাম্পেসই। সে একটি হ্যান্ডবল করে। নেদারল্যান্ডস পেনাল্টি পায় এরপর সে নিজেই দুটি গোল করে।’ ফাইনালে রেফারিং নিয়ে হল্যান্ডের এখনো অনুযোগ রয়েছে। তারা পক্ষপাত রেফারিংয়ের শিকার। সেই টুর্নামেন্ট কাভার করা জেসুস বলেন, ‘এখন ইচ্ছেকৃত বল হাত দিয়ে ধরলে লাল কার্ড। আগে সেই নিয়ম ছিল না। তাই রেফারি শুধু পেনাল্টিই দিয়েছিলেন।’

১৯৭৮ সালের টুর্নামেন্টে আর্জেন্টিনা স্বাগতিক হিসেবে সুবিধা পাওয়ার বড় উদাহরণ পেরুর বিপক্ষে ৬ গোলের জয়। অনেক সমালোচকের মতে, নানা দিক থেকে প্রভাব খাটিয়ে আর্জেন্টিনা সেই ম্যাচের ফলাফল তাদের সুবিধাজনক মতো করেছে।

এই সম্পর্কে জেসুসের মত, ‘সেই সময় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট দক্ষিণ আমেরিকায় একটু ভিন্ন রকম ছিল। তবে সেটার প্রভাব টুর্নামেন্টে সেভাবে দেখা যায়নি। তবে টুর্নামেন্টের সূচি ও ফরম্যাট অনুযায়ী আর্জেন্টিনা কিছু সুবিধা পেয়েছিল। সেটা পেলেও টুর্নামেন্টে মাঠে আর্জেন্টিনা দারুণ খেলেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।’

আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হলেও হল্যান্ড ছিল সেই টুর্নামেন্টের ফেভারিট। হল্যান্ডের রানার্স আপ হওয়াটা ছিল বড় আলোচিত বিষয়। জেসুসের কন্ঠেও সেই আক্ষেপের সুর, ‘হল্যান্ড ঐ টুর্নামেন্টের সেরা দল ছিল। দল হিসেবে হল্যান্ডই বেস্ট ছিল। ফুটবলে বেস্ট দলই সব সময় সফল হয় না।’

হন্ডুরাস বিশ্বকাপে ৩বার অংশগ্রহণ করেছে। সেন্ট্রাল আমেরিকার দেশটি ৩ বার অংশগ্রহণ করলেও জেসুসের বিশ্বকাপ কাভার সংখ্যা ১৪। দেশের বিশ্বকাপের অংশগ্রহণের চেয়ে তার কাভার সংখ্যা বেশি। এই প্রসঙ্গে তার মত, ‘হন্ডুরাস প্রথম বিশ্বকাপে খেলে ১৯৮২ সালে। এর এক যুগ আগে থেকে কাভার করি। হন্ডুরাস ফুটবলে আমি অত্যন্ত পরিচিত ব্যক্তিত্ব। বিশ্বকাপে আমার উপস্থিতি থাকে।’ 

এজেড/এটি