নেইমার, থিয়াগো সিলভারা এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে শুয়েই রয়েছেন। টেনেও তুলতে পারছেন না কোচিং স্টাফ ও সতীর্থরা। হেক্সা মিশনে এসে কোয়ার্টারে বিদায়ঘণ্টা বেজে গেল ব্রাজিলের। এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম মাতিয়ে রাখা ব্রাজিলের সমর্থকরাও দলের হারে স্তব্ধ। 

এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম যেন সাবেক চ্যাম্পিয়নের বধ্যভূমি। এই স্টেডিয়ামেই নক আউটে বিদায় হয়েছিল স্পেন। টাইব্রেকারে আফ্রিকার মরক্কোর বিপক্ষে হেরেছিল একবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেন। সেই এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামই আরেক চ্যাম্পিয়ন বধ হলো। সেই টাইব্রেকারেই। স্পেন মরক্কোর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কোনো গোলই করতে পারেনি। ব্রাজিল অবশ্য চার শটের মধ্যে দু’টি গোল করে। চতুর্থ শটে মারকিনিয়োস মিসের শট পোস্টে সাইড পোস্টে লাগার সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ে ক্রোয়েশিয়া। 

এই ক্রোয়েশিয়া গত আসরে রানার্স আপ হয়েছিল। সেই দলের এত উচ্ছ্বাসের কারণ পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বধ। যা ক্রোয়াট ফুটবলে নতুন অধ্যায়। বিগত কোনো সময় ব্রাজিলকে হারাতে পারেনি তারা। ব্রাজিল রাশিয়া বিশ্বকাপেও বিদায় নিয়েছিল কোয়ার্টার থেকে। প্রতিপক্ষ ছিল ইউরোপের বেলজিয়াম এবার আরেক ইউরোপের কাছে হারল।

১২০ মিনিটের পর টাইব্রেকারেও ক্রোয়েশিয়াকে ম্যাচে রাখেন গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। ব্রাজিলের রদ্রিগোর শট তিনি সেভ করেন। ব্রাজিলের এলিসন বেকার ক্রোয়েশিয়ার কোনো গোল রুখতে পারেনি। ব্রাজিলের হয়ে ক্যাসেমিরো ও পেদ্রো গোল করলেও এক গোল পেছনে থাকায় চাপেই ছিল ব্রাজিল। মারকিনিয়োসের শট সাইড পোস্টে লাগলে ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয়।