ইয়াশিন বনো চলতি বিশ্বকাপে যেন আছেন আগুনে ফর্মেই। একের পর এক সেভ করে চলেছেন, তার ডানায় ভর করেই নতুন উড়াল দিয়েছে মরক্কো। প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে গড়ে ফেলেছে ইতিহাসও। 

শেষ আটের লড়াইয়ে পর্তুগালের বিপক্ষেও অমানবিক পারফর্ম্যান্সের রুটিনটা মেনেছেন বনো। বনে গেছেন ম্যাচসেরাও। তবে ম্যাচসেরার পুরস্কারটা নিতে গিয়ে তিনি গড়লেন অনন্য এক নজির। বিশ্বকাপের নকআউটে দারুণ পারফর্ম করে দলকে জিতিয়ে বনেছেন ম্যাচসেরা, সেই পুরস্কারটাই কি-না তিনি দিয়ে দিলেন সতীর্থ ইউসেফ এন নেসিরিকে!

চলতি বিশ্বকাপে মরক্কো হজম করেছে মোটে এক গোল, সেটাও আবার আত্মঘাতী। প্রতিপক্ষের কোনো খেলোয়াড়ই বনোর থাবা এড়িয়ে মরক্কানদের জালে বল জড়াতে পারেননি। আল থুমামা স্টেডিয়ামে গত রাতেও তিনি একের পর এক সেভ দিয়েছেন, তার তুলে দেওয়া দেয়ালেই পর্তুগালের সব আক্রমণ মাথা কুটে মরেছে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বিশ্বকাপের স্বপ্নও শেষ হয়ে গেছে তাতে। 

বনো যে শুধু গোলরক্ষণেই পটু, বিষয়টা মোটেই এমন নয়। গত রাতে তার ৭০ শতাংশ পাস ছিল নির্ভুল, তার বাড়ানো লং বলগুলো ছিল ৫৫ শতাংশ নিখুঁত। এমন পারফর্ম্যান্সের পর তাকে অবধারিতভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। 

তবে বনোর মগজে খেলছিল অন্য কিছুই। তিনি ম্যাচসেরার পুরস্কারটা তুলে দেন  জাতীয় দল তো বটেই, ক্লাব দল সেভিয়াতেও তার সতীর্থ ইউসেফ এন নেসিরির হাতে। তার একমাত্র গোলেই যে পর্তুগালকে হারানোর অসাধ্যটা সাধন করেছে মরক্কো!

চলতি বিশ্বকাপে মরক্কান এই গোলরক্ষকের এটাই প্রথম ম্যাচসেরা হওয়ার নজির নয়। এর আগে স্পেনের বিপক্ষে পেনাল্টি শ্যুটআউটে কার্লোস সোলের আর সার্জিও বুসকেটসের পেনাল্টি ঠেকিয়েও তিনি বনেছিলেন ম্যাচসেরা।

মরক্কান এই গোলরক্ষক ২০১৮ বিশ্বকাপেও দলটির হয়ে খেলেছেন। তার সামনে ছিল কানাডার হয়ে খেলার সুযোগও। তবে সে সুযোগটা তিনি নেননি। খেলছেন মরক্কোর হয়ে। একের পর এক অমানবিক পারফর্ম্যান্স উপহার দিয়ে ইতোমধ্যে দেশটির ফুটবল ইতিহাসেও জায়গা করে নিয়েছেন বৈকি!

এনইউ