কড়া নাড়ছে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। মঙ্গলবার দিবাগত রাতেই প্রথম ম্যাচ। তার আগে পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের বিদায় এখনো রয়েছে আলোচনায়। ইউর্গেন ক্লিন্সম্যানকে সামনে পেয়ে ব্রাজিলের বিদায় নিয়ে প্রশ্ন তো করতেই হলো।

ইউর্গেন ক্লিন্সম্যান নামই পরিচয়; কোনো বিশেষণ প্রয়োজন পড়ে না। বিশ্বকাপে ট্রফি উচিয়ে ধরেছেন সেই ১৯৯০ সালে। এরপর নিজ দেশ জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে বিশ্বকাপে কোচিং করিয়েছেন। এখন অবশ্য ভিন্ন পরিচয়ে কাজ করছেন। কাতার বিশ্বকাপে ফিফার টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য এই কিংবদন্তি। 

আজ সোমবার মেইন প্রেস সেন্টারে এসেছিলেন টেকনিক্যাল স্টাডি গ্রুপের সংবাদ সম্মেলনে। বিশ্বকাপে টেকনিক্যাল বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনের পর প্রশ্নোত্তর। ব্রাজিলের বাদ পড়া প্রসঙ্গে তার মত, ‘টাইব্রেকারের জন্য মানসিক প্রস্তুতি রয়েছে। ব্রাজিল অতিরিক্ত সময়ে এগিয়ে থেকে তিন মিনিট আগে গোল হজম করেছে। তিন মিনিটের মধ্যে টাইব্রেকারের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়া গোলরক্ষকদের জন্য বেশ কঠিন। প্যাসকেল (পাশে বসা সাবেক সুইসগোলরক্ষক) ও আমার সঙ্গে একমত হবে।’

ক্লিন্সম্যানের দৃষ্টিতে একে তো টাইব্রেকারের জন্য যথেষ্ট সময় ছিল না। অন্য দিকে টাইব্রেকার শট নেয়ার ক্রম নিয়ে তুলেছেন তিনি, ‘বর্তমান সময়ে ফুটবলে যারা ভালো পেনাল্টি শট নেয় তাদেরই আগে দেয়া হয়। কারণ এতে খেলার নিয়ন্ত্রণ থাকে।’ এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে ক্লিন্সম্যান ব্রাজিলের কোচের হালকা সমালোচনাই করলেন। কারণ নেইমারকে তিনি রেখেছিলেন পঞ্চম শটের জন্য। শেষ পর্যন্ত নেইমার শট নেয়ার সুযোগই পাননি।

ব্রাজিল হারলেও আর্জেন্টিনা ঠিকই জিতেছে টাইব্রেকারে। সেই জয়ের ব্যাখ্যাটাও ব্রাজিলের হারের মতো করেই দিয়েছেন ৯০ সালে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া এই ফুটবলার, ‘আর্জেন্টিনা মানসিকভাবে প্রস্তত ছিল তাদের টাইব্রেকারে যেতে হতে পারে। যেটা ব্রাজিলের ছিল না। এই প্রস্তুতি আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে রেখেছে।’

এই টুর্নামেন্টে অপরাজিত দল ছিল ইংল্যান্ড। কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে হারলেও ক্লিন্সম্যানের মন জয় করেছেন ইংশিলরা, ‘ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে দারুণ ফুটবল খেলেছে। কোয়ার্টারেও তারা সুন্দর ফুটবল উপহার দিয়েছে।’
 
এজেড/এটি/এনইউ