গাড়ি চলছে তো চলছেই। দোহা থেকে দেড় ঘণ্টা গাড়ি চলার পর হঠাৎ থামল এক জায়গায়। সেখানে সকল গাড়ি খানিকটা পাম্প ছাড়ল। মরুভূমির বুকে গাড়ি চালাতে এই প্রয়াস। 

এরপর গাড়ি উঠল মরুর বুকে। মরুভূমির উপর প্রাইভেট কার চলল এক ঘণ্টারও বেশি। চারদিকে শুধু বালির স্তুপ। এর চূড়ায় উঠলে দেখা যায় আরব সাগর। চলতে চলতে এক সময় সূর্য ডুবল। 

সূর্য ডোবার কিছুক্ষণ পর মরুর এক জায়গায় থামল গাড়ি। সেখানে দেখা গেল ঝলমলে আলো। আলোর চারদিকে বিশ্বকাপে অংশ নেয়া দেশগুলোর পতাকা। এর সাথে রয়েছে বড় পর্দা। যেখানে চলছে বিশ্বকাপের নানা খেলার হাইলাইটস। 

বিশ্বকাপ উপলক্ষে মরুর বুকে নতুন ছন্দ এসেছে। কাতার সরকারের ট্যুরিজম বিভাগ আমন্ত্রণ করে ডেজার্ট সাফারির আয়োজন করেছে। আরাম আয়েশের ব্যবস্থাও রয়েছে অনেক। সুন্দর সুসজ্জিত চেয়ার। সেখানে বসে আরব নৃত্য উপভোগ করছেন পর্যটকরা।

সরকারের অতিথি ছাড়াও রয়েছেন বাইরের সাধারণ পর্যটক। সবার জন্যই রয়েছে বারবিকিউয়ের স্বাদ। সঙ্গে আছে বুফে ডিনারও। আরবের ঐতিহ্যের মতো মাটির সাথে মেশানো সোফায় নৈশভোজ করেন আগতরা। মরুর প্রতীক উটেও ওঠেন অনেকে। 

এজেড/এনইউ