জামাল ভূঁইয়াদের কোচ এখন স্প্যানিশ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। এই স্প্যানিশ কোচের সঙ্গে ১১ মাসের চুক্তি শেষ করে নবায়নও করেছে বাফুফে। এরপরও দেশের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থার আলোচনায় রয়েছেন ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে।

৩১ ডিসেম্বর বাফুফে নির্বাহী সভা ছিল। সেই সভায় জেমি ডের বকেয়ার বিষয়টি উত্থাপিত হয়। বাফুফে সহ-সভাপতি ও জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ জেমি ডের বকেয়ার বিষয়টি বোর্ড সভায় উথাপন করেন।

বাফুফের কাছে জেমি ডের প্রাপ্য ৮৬ হাজার ডলার। বাংলাদেশের টাকায় বর্তমান বাজার মুল্যে যা ৯২ লাখ টাকা। প্রায় কোটির কাছাকাছি। জেমি ডের বেতন ও জরিমানার অর্থ প্রদানের বিষয়টি বাফুফে নির্বাহী সভায় গৃহীত হয়। নির্বাহী কমিটির সভায় এত বড় অঙ্ক কমিয়ে আনার ও তার সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ও কথা হয়েছে। এই বিষয়ে অবশ্য সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা আসেনি।
 
বাফুফের চুক্তিতে থাকাবস্থায় জেমিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এজন্য জেমি ফিফাকে অভিযোগ করেন। ফিফার সংশ্লিষ্ট কমিটি বাফুফের বিপক্ষে রায় দিয়েছে। বেশ কয়েক মাস আগেই ফিফা এই সিদ্ধান্ত দিয়েছে। 

৩১ ডিসেম্বরে বাফুফের আর্থিক বিষয়ে ফিফার কড়া চিঠির বিষয়টি আলোচিত হয় গণমাধ্যমে। সেই দিনের নির্বাহী সভায় অবশ্য ফিফার চিঠি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। ফিফা বাফুফেকে একজন ফিনান্সিয়াল কনসালটেন্ট নিয়োগ দিয়েছিলেন। সেই কনসালটেন্টের কোম্পানির সঙ্গে ফিফার চুক্তি শেষ। বাফুফের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান সেই কনসালটেন্টকে ফেডারেশনের কমপ্ল্যায়ান্স অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে মত দেন। নির্বাহী কমিটির অনেকে এতে দ্বিমত পোষণ করে। 

ফিফার চিঠি নিয়ে আলোচনা না করলেও সেই নির্দেশনা মোতাবেক প্রকিউরমেন্ট নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাফুফের ক্রয় নিয়ে অনেক সময় নানা প্রশ্ন উঠে। সম্প্রতি বাফুফে যে চিঠি পেয়েছে ফিফার কাছ থেকে সেটাও ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়েই।

শুধু ফুটবল নয়, দেশের ক্রীড়াঙ্গনে স্বার্থের সংঘাত জড়িত। সেই স্বার্থের সংঘাত এড়াতে বাফুফে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট নীতিমালা করেছে। নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তারা যেমন ক্লাব-ফেডারেশন দ্বৈত ভূমিকায় তেমনি বাফুফে সচিবালয়ে কর্মরতদের মধ্যে আত্মীয়তার বন্ধন আছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। 

এজেড/এনইআর/এটি