ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার নেইমার তার ফুটবল প্রতিভার জন্য যতোটা না আলোচিত তার চেয়েও বেশি আলোচিত হয়েছেন তার মাঠের বাইরের কর্মকান্ডের কারণে। ফুটবলের বাইরে পার্টি, নাইট লাইফ নিয়ে মেতে থাকতে বেশ পছন্দ করেন পিএসজির এ তারকা। ৩০ বছরের জীবনে প্রেমও করেছেন অনেকগুলো। তাই তার প্রেমের বিষয়ে গুঞ্জনও ওঠে নিয়মিতই। সম্প্রতি এরকম আরেকটি গুঞ্জন উঠেছে তার নামে।

ব্রুনা মার্কেজিন, লারিসা মাচেদো, থাইলা আয়লা, কারোলিনা দানলাস, বারবারা ইভানস, ব্রুনা ইকার্দি, লারিসা অলিভেইরা, জেসিকা তুরিনি- নেইমারের প্রেমিকার তালিকাটা বেশ লম্বা। কয়েকদিন আগেই গুঞ্জন ওঠে,  মডেল এবং ডিজিটাল ইনফ্লুয়েন্সার জেসিকা তুরিনির প্রেমে পড়েছেন নেইমার। বিশ্বকাপ শেষের পর থেকেই এ গুঞ্জন যখন বেশ চাউর, তখনই নেইমারের নতুন প্রেমের গুঞ্জন ফুটবল বিশ্বে। 

এবার ব্রাজিলিয়ান তারকাকে ঘিরে গুজবের কেন্দ্রবিন্দুতে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের পর্তুগিজ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হোয়াও ফেলিক্সের সাবেক প্রেমিকা মার্গারিদা কোরচেইরো। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কাতার বিশ্বকাপের পরপরই শেষ হয়েছে মার্গারিদার সঙ্গে ফেলিক্সের সম্পর্ক।

পর্তুগিজ এই অভিনেত্রী ও মডেলের সঙ্গে ফেলিক্সের সম্পর্কে আস্থার সংকট ছিল এবং দুজন দুই শহরে থাকায় বিষয়টি আরও ঘনীভূত হয়। তাই শেষ পর্যন্ত ছেড়ে গেছেন একে অপরকে। এরপরই আসে নেইমার গুঞ্জন। বিভিন্ন সময় মার্গারিদার বিভিন্ন ছবিতে লাইক দেন নেইমার। মার্গারিদাও নেইমারের ছবিতে লাইক দেন। তার উপর সম্প্রতি মার্গারিদা কিছুদিনের জন্য প্যারিসে এসেছিলেন। আইফেল টাওয়ারের সামনে কিছু ছবিও তুলেছেন। গুজব আরও জোরদার হয় তখন। শুরু হয় পত্র-পত্রিকার লেখালিখি। 

নেইমার অবশ্য এসব ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি। শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে আনফলো করেছেন মার্গারিদাকে। কিন্তু মার্গারিদা মুখ খুলেছেন লোকের মুখ বন্ধ করতে। নেইমারের সঙ্গে তার প্রেমের গুজব নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে ধুয়ে দিয়েছেন তারকা অভিনেত্রী। 

এ প্রসঙ্গে নিজের ইনস্টাগ্রামে মার্গারিদা লিখেছেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, পত্রপত্রিকায় আমাকে নিয়ে যা লেখা হয় তার কোনো কিছুই আমি পড়ি না। প্রথম কারণ, ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সেগুলো মিথ্যা। দ্বিতীয় কারণ, যেহেতু সেগুলো মিথ্যা, তাই পড়ার কোনো প্রয়োজন নেই। জীবনে এসব কোনো কিছু যোগ করে না। একটি মেয়ের বন্ধু থাকা, সুখী থাকা ও নিজের মতো চলাকে কি আমরা স্বাভাবিক চোখে দেখব না? এটা অন্যায্য। আমিই এর প্রথম কিংবা শেষ শিকার নই।’

এনইআর/এটি