গেল মৌসুমে দারুণ পারফর্ম্যান্স দিয়ে নজরে চলে এসেছিলেন সেবাস্তিয়ান হলার। শেষমেশ গেল দলবদলে যোগ দিয়েছিলেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে। কিন্তু সেখানে যোগ দিয়েই শুনলেন একটা দুঃসংবাদ, শরীরে ততদিনে বাসা বেধেছে মরণব্যধি ক্যানসার। নতুন দলের জার্সি চাপিয়ে তখনো মাঠেই নামা হয়নি তার!

সেই হলার এরপর মাঠ ছেড়ে গেছেন হাসপাতালে, শল্যবিদের ছুড়ির নিচে তাও এক বার নয়, দুই বার, চার চারটা কেমোথেরাপিও নিতে হয়েছে তাকে। অবশেষে তিনি সেই ক্যানসারকে হারিয়ে ফিরে এসেছেন মাঠে। 

আইভরিয়ান এই ফরোয়ার্ড গেল মাসে ফিরেছেন অনুশীলনে। ফরট্যুনা ডুইসেলডর্ফের বিপক্ষে অনানুষ্ঠানিক অভিষেকও হয়ে গেছে তার। এবার আনুষ্ঠানিক ম্যাচে অভিষেকের অপেক্ষায় তিনি। 

গত ১৩ নভেম্বর বুন্ডেসলিগার সবশেষ রাউন্ডের খেলা হয়েছে। এরপর থেকে বিশ্বকাপের বিরতি শেষ করে অন্য সব লিগই মাঠে নেমে গেছে। তবে জার্মান সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছুটি শেষ হয়নি এখনো। আগামী ২১ জানুয়ারি দুই মাসের বিরতি শেষে মাঠে গড়াবে বুন্ডেসলিগা। হলারের দল বরুসিয়া মাঠে নামবে এক দিন পর। সেই ম্যাচ আরও ১১ দিন পর, সে ম্যাচের জন্য তর সইছে না ক্যানসারজয়ী এই ফুটবলারের।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান ফরট্যুনা ম্যাচের অনুভূতি। তিনি বলেন, ‘মাঠে অনুভূতিটা অসাধারণ ছিল। আমি অনেক বাহবা, খুদেবার্তা পেয়েছি। এই সমর্থনটা পারফর্ম্যান্সে অবদান রাখে।’ 

‘আমি প্রথম ম্যাচ থেকেই মাঠে নামতে চেয়েছি। কী করে সবচেয়ে ভালো সমাধানটা খুঁজে বের করতে হয়, তার জন্য আমরা আলাপ করেছি। ছয় মাস পর আমি অবশেষে ডর্টমুন্ডের জার্সিটা পরতে পেরেছি।’

আগামী ২২ জানুয়ারি বরুসিয়া চলতি বছর নিজেদের প্রথম ম্যাচটা খেলবে। সেদিন দলটির প্রতিপক্ষ হবে অগসবুর্গ। সেই ম্যাচে খেলতে মরিয়া তিনি। বললেন, ‘আমি সত্যিই খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। দলবদলের পর থেকে এখনো এটা করতে পারিনি আমি। অনুশীলন করা, দৌড়ে বেড়ানোর চেয়ে মাঠে খেলার অনুভূতিটা ভালো। এই অনুভূতিটাকেই মিস করছিলাম।’