মাত্র গতবছরই ইউরোপসেরার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। বিশ্বকাপের আগেও বেশ ভালোই ছন্দে ছিল। কিন্তু হুট করেই আবার ছন্দহারা রিয়াল। লা লিগার গত ম্যাচেই ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে হেরে বসে গতবারের শিরপাধারীরা। আর এবার স্প্যানিশ সুপারকাপে টেনেটুনে ফাইনালে উঠেছে কার্লো আনচেলত্তির দল। 

বুধবার রাতে সৌদি আরবের কিং ফাহাদ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামের সেমিফাইনাল ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে রিয়াল। নির্ধারিত সময়ে খেলায় কোনো ফলাফল না এলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ভ্যালেন্সিয়াকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে শিরোপার মঞ্চে জায়গা করে নেন ভিনিসিয়াস-বেনজেমারা। 

গত ম্যাচের একাদশ থেকে এদিন চার পরিবর্তন আনে রিয়াল। লুকাস ভাসকেস, নাচো, কামাভিঙ্গা ও রদ্রিগোকে খেলান শুরু থেকে। মাঝমাঠের বড় ভরসা মদ্রিচকে বেঞ্চে রাখেন কোচ আনচেলত্তি। তবুও আক্রমণভাগে বেনজেমা, ভিনিসিয়াসদের বিবর্ণতা ফুটে ওঠে শুরু থেকে। 

দশম মিনিটে প্রথম সুযোগ আসে রিয়ালের। কিন্তু রদ্রিগো শট মারেন পোস্টের বাইরে। বিষ মিনিটের আগে রিয়ালের আরও দুটি প্রচেষ্টা পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। এরপর রক্ষণ সামলে উঠে আসে ভ্যালেন্সিয়াও। ১৯তম মিনিটে প্রথম ভালো আক্রমণটি শাণায় তারা। কিন্তু গায়ার ক্রসে কাভানির হেড ফিরিয়ে দেন কোর্তোয়া। 

৩৯তম মিনিটে বক্সের ভেতরে বেনজেমাকে বিপজ্জনক ট্যাকল করা হলে পেনাল্টি পেয়ে যায় রিয়াল। সফল স্পট কিকে রিয়ালকে এগিয়ে নেন বেনজেমা। প্রথমার্ধে রিয়ালের এই একটি শটই ছিল লক্ষ্যে! প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে কাভানির শট জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে গোল হয়নি। স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যায় রিয়াল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রিয়ালের স্বস্তি কেড়ে নেয় ভ্যালেন্সিয়া। ৪৬ তম মিনিটে ভালেন্সিয়ার ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড সামুয়েল লিনো দারুণ শটে জাল খুঁজে নেন। খেলায় সমতা ফেরার পর গতি কমে যায় হুট করেই। তাই  নির্ধারিত সময়ে এরপর আর কোনো গোল হয়নি।   খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। 

অতিরিক্ত সময়ে রিয়ালের একের পর এক আক্রমণ দেয়ালের মতো একাই ঠেকিয়ে যান মামারদাশভিলি। বাঁচিয়ে রাখেন ফাইনালের আশা। তবে জর্জিয়ান গোলরক্ষক চাপটা টাইব্রেকারে আর নিতে পারলেন না। টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয় তার দলকে। আগামী রোববার ফাইনালে রিয়াল মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা ও রিয়াল বেটিসের মধ্যে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জয়ী দলের বিপক্ষে।