বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় স্তর চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ। গত দুই আসর এই লিগ আলোচনায় ফিক্সিং ইস্যুতে। এখন পর্যন্ত প্রথম লেগের ৮ রাউন্ড শেষ হয়েছে। এবার ফিক্সিংয়ের খবর এখনো না রটলেও যথেষ্ট আলোচনায় বাফুফের এলিট একাডেমি দলের পেনাল্টি।

বাফুফের এলিট একাডেমি এখন পর্যন্ত ৭টি ম্যাচ খেলেছে। সাত ম্যাচের মধ্যে তাদের জয় পাঁচটিতে। পাঁচ ম্যাচ জয়ের পাঁচটিতেই রয়েছে পেনাল্টি। সেই ম্যাচগুলোতে একাধিক গোল থাকলেও পেনাল্টি কখনো ম্যাচে সমতা আনা অথবা ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে। 

বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে অংশ নেয়া সংশ্লিষ্ট অনেকের দৃষ্টিতে পড়েছে এলিট একাডেমির পেনাল্টিগুলো। কোড অফ কন্ডাক্টের জন্য আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি অনেক কর্মকর্তা। এলিট ফুটবল একাডেমীর পেনাল্টি নিয়ে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্লাবের শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন,‘ পেনাল্টি খেলার অংশ হতেই পারে। চলমান লিগে হওয়া পেনাল্টির পঞ্চাশভাগের বেশিই যদি একটি দল পায় তখন এ নিয়ে প্রশ্ন এবং আলোচনা হওয়াটা স্বাভাবিক।’  

এলিট একাডেমী সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছে নোফেলের বিপক্ষে। ৯০ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল এলিট। মিরাজুল পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা আনেন। ইনজুরির সময়ে আরেক গোল করে নোফেলকে হারায় এলিট।

অন্তিম মুহূর্তে আরেকটি ম্যাচেও পেনাল্টি পেয়েছে এলিট একাডেমী। উত্তরা ফুটবল একাডেমির বিপক্ষে মিরাজুলের গোলে লিড ছিল এলিটের। ৬৯ মিনিটে ম্যাচে সমতা আনে উত্তরা। ৯০ মিনিটে খেলা ১-১ ড্র ছিল। সেই ম্যাচে ইনজুরি সময়ে পেনাল্টি থেকে গোল করেন মিরাজুল। এরপর আরেকটি গোল করে নিজের হ্যাটট্রিকও করেন তিনি।

ওয়ারীর বিপক্ষে মিরাজুলের গোলে এলিট একাডেমি লিড নিয়েছিল। ৪৯ মিনিটে ওয়ারী ম্যাচে সমতা আনে। ৬২ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে জয়সূচক গোলটি করেন মিরাজুল। ম্যাচে সমতা, জয়সূচক ক্ষেত্রেই শুধু নয় এলিটের ম্যাচের সূচনাও হয়েছে পেনাল্টি থেকে। ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে ২০ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল এলিট। সেই ম্যাচে ওয়ান্ডারার্সও ছয় মিনিট পর পেনাল্টি পেয়েছিল। 

৭ ম্যাচে ৫ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে বাফুফের এলিট একাডেমি ফুটবল টিম। সমান ম্যাচে ঐতিহ্যবাহী ব্রাদার্স ইউনিয়ন ১৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। বাইলজ অনুযায়ী টেবিলের দুই শীর্ষ দল প্রিমিয়ার লিগে খেলবে। এলিট একাডেমী শেষ পর্যন্ত টেবিলের শীর্ষ দুইয়ে থাকলেও তারা প্রিমিয়ার খেলতে পারবে না বাধ্যবাধকতার জন্য। কারণ বাফুফে একাডেমী দলটি শুধু প্রতিযোগিতামূলক আসরে অভ্যস্ত করানোর জন্যই চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে খেলানো। তারা প্রিমিয়ারে উঠবেও না আবার সিনিয়র ডিভিশনেও অবনমিত হবে না; কিন্তু তাদের বিপক্ষে পয়েন্ট অর্জন অন্য দলগুলো প্রিমিয়ারে উঠা এবং অবনমনের ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলছে। 

এজেড/এটি