বাংলাদেশ ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন ছিল আজ (শনিবার)। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের পাশের শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রাতে ভোট গণনার একপর্যায়ে প্রার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গণনা স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

ভোট গণনার একপর্যায়ে সাবেক ফিফা রেফারি ও নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মিরন এবং তার প্যানেলের অনেকে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

তাদের অভিযোগ, ‘একটি জাল ভোট পড়েছে এবং ব্যালটও বাইরে এসেছে। তাই আমরা ভোট গণনা স্থগিত করার দাবি জানিয়েছি।’

এমনটা বলছেন মিরনের বিপরীত প্যানেলের যুগ্ম-সম্পাদক প্রার্থী মিজানুর রহমানও, ‘ভোট গণনার শেষ পর্যায়ে তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভোট গণনা স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।’

বাংলাদেশ ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতি, যুগ্ম-সম্পাদক পদে ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গণনা চলছিল। সেই পর্যায়ে নানারকম মন্তব্য হচ্ছিল। একপর্যায়ে তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা ভোট গণনা স্থগিত করি।’

তিন সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন একমত হয়ে ব্যালটগুলো পুলিশ হেফাজতে রেখেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভোট গণনা স্থগিত করেছি। ব্যালটগুলো অরক্ষিত রাখা যায় না। স্টেডিয়ামে সেই অর্থে ব্যালট নিরাপদও নয়। তাই পুলিশকে ডেকে এনে তাদের হেফাজতে থানায় রাখার জন্য দেওয়া হয়েছে।’ 

নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। এর পরিপ্রেক্ষিতে নজরুলের বক্তব্য, ‘আমরা তিনজনই বৈধ ভোটার। নিরপেক্ষতার স্বার্থে ভোটই দেইনি। নিরপেক্ষতা প্রমাণে আমাদের আর কি করার ছিল!

এই পরিস্থিতিতে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বীর বাহাদুরের সঙ্গে আলোচনা করতে চান তারা। গত কয়েক মাস অ্যাসোসিয়েশন থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর। 

আজ সকালে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভাতেও আসেননি তিনি। রেফারি ছিলেন বীর বাহাদুর। এমপি, মন্ত্রী হলেও রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের দায়িত্বটা উপভোগ করতেন  তিনি। ইফতার, এজিএম বিভিন্ন সভায় তার সরব উপস্থিতি থাকত। কয়েক মাস আগে ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে রেফারিদের পারিশ্রমিকের বিষয়ে আন্দোলনের সময় কমিটির দুই-একজনের আচরণে বীর বাহাদুর মনক্ষুণ্ন হন বলে জানা গেছে। এরপর থেকেই তিনি প্রিয় সংগঠন থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন।

রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদটি মনোনীত। ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি মনোনীত করে দেন এটি। বাকি পদগুলো রেফারিদের ভোটাভুটিতে নির্বাচিত হয়। তিন বছরের কমিটির নির্বাচন ছিল আজ। সেই নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ২৭৮ জন রেফারি। 

আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। তবে  সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ভোট গণনায় মিরনের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলেন হাজী ওসমান গণি। যদিও মিরনের প্যানেলের দাবি, নির্বাচনে ওসমান গণি অনেক টাকা বিতরণ করেছেন।

এজেড/কেএ