ক্রেস্ট নিচ্ছেন বীর বাহাদুর। মন্ত্রী, পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সভাপতি বাংলাদেশ ফুটবল রেফারিজ এসোসিয়েশন

বাংলাদেশ ফুটবল রেফারিজ এসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন ছিল ২৮ জানুয়ারি। ভোট গণনার এক পর্যায়ে প্রার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে গণনা স্থগিত রেখে ব্যালট পুলিশ হেফাজতে রেখেছে নির্বাচন কমিশন। তিন দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর সে দিনের সামগ্রিক বিষয় উল্লেখ করে এসোসিয়েশনের সভাপতি বীর বাহাদুরকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। 

বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম রেফারিজ এসোসিয়েশনের নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন। তিনি নির্বাচনের সর্বশেষ অবস্থা ব্যক্ত করলেন এভাবে, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সেই দিনে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো চিঠির মাধ্যমে এসোসিয়েশনের সভাপতির কাছে প্রেরণ করেছি।’

পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর এসোসিয়েশনের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে ইতোমধ্যে ফেডারেশনকে চিঠি দিয়েছেন। এই বিষয়ে সাবেক রেফারি বীর বাহাদুর বলেন, ‘আমি কিছু দিন আগে ফেডারেশনের সভাপতি বরাবর অব্যাহতি পত্র দিয়েছি। রেফারি অঙ্গন আমি উপভোগ করি কিন্তু নানা ব্যস্ততা এবং পারিপার্শ্বিকতায় আমার পক্ষে সময় দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই ফেডারেশনের কাছে আমি অব্যাহতি পত্র প্রেরণ করেছি।’ 

গত মৌসুমের মাঝামাঝিতে রেফারিরা পারিশ্রমিক বিষয়ে আন্দোলন করেছিলেন। এসোসিয়েশনের সভাপতি বীর বাহাদুর ফেডারেশন ও রেফারিদের মধ্যে সেতুবন্ধনকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন। রেফারিদের মধ্যে আলোচনা, সেই সময় রেফারিজ কমিটির দুই একজনের আচরণে মনক্ষুন্ন হয়ে বীর বাহাদুর এসোসিয়েশনের কর্মকান্ড থেকে দূরে। এই বিষয়ে বীর বাহাদুরের মন্তব্য,‘ আমি নিজে রেফারি ছিলাম। সকল রেফারির সঙ্গেই আমার সৌহার্দ্যতা  রয়েছে। রাষ্ট্রীয় এবং দলীয় কাজে অত্যন্ত ব্যস্ত থাকায় এসোসিয়েশনে আমার পক্ষে সময় দেয়া সম্ভব নয় তাই আমি গত কয়েক মাস বিচ্ছিন্ন।’ 

ফুটবল রেফারিজ এসোসিয়েশনে একমাত্র সভাপতি পদটি মনোনীত,বাকি পদগুলো নির্বাচিত। ফুটবল ফেডারেশন থেকে মনোনীত হওয়ায় বীর বাহাদুর ফেডারেশন সভাপতি বরাবরই অব্যাহতি পত্র দিয়েছেন। ফুটবল ফেডারেশন বীর বাহাদুরের চিঠিটি গ্রহণ (রিসিভ) করলেও তাকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে তিনিই সভাপতি। বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতি হিসেবে তার নামই ছিল। তার অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি ইব্রাহীম নেছার সভাপতিত্ব করেছেন। 

ফুটবল রেফারিজ এসোসিয়েশনের বিগত নির্বাচনগুলো বেশ সুন্দর ও স্বাভাবিকভাবেই সম্পন্ন হয়েছিল। সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক হাজী ওসমান এবং সাবেক ফিফা রেফারি আব্দুল হান্নান মিরণ দুই প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। দুই পক্ষই বেশ মরিয়া ছিল নির্বাচন উপলক্ষ্য। নির্বাচন উপলক্ষ্যে টাকা ছড়াছড়িরও অভিযোগ আছে। নির্বাচনের দিন এক তারকা রেফারির ভোটারকে সন্তুষ্ট করার ভিডিও রহস্য তৈরি করেছে।

ফুটবল ফেডারেশন তাদের অধীভুক্ত প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় থাকে প্রায় সময়। রেফারিজ এসোসিয়েশনের মতো সংবেদনশীল সংগঠনের নির্বাচনে বাফুফের কোনো পর্যবেক্ষক না থাকাতেও প্রশ্ন উঠছে। 

এজেড/এনইআর