রাত পোহালেই দেশের মাটিতে শুরু হচ্ছে সাফ অ-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশীপ। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী টুর্নামেন্টের আগের দিন ম্যাচ ভেন্যু কমলাপুর স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইটের আলোয় অনুশীলন করেছে সফরকারী তিন দেশ ভারত, নেপাল ও ভুটান। 

চার জাতির এই টুর্নামেন্টে প্রতি দলই তিনটি করে ম্যাচ খেলবে। স্বাগতিক বাংলাদেশের তিনটি ম্যাচই সন্ধ্যা সাতটায়। ফ্লাডলাইটের আলোয় ম্যাচ থাকলেও বাংলাদেশ অনুশীলন করেছে দিনের আলোয় সকালে। 

৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার দলই অনুশীলন সূচি চূড়ান্ত করেছে। ভারত, নেপাল ও ভুটান তিন দিন ফ্লাডলাইটের আলোয় অনুশীলন করবে। সেখানে বাংলাদেশ প্রতিদিন (ম্যাচ ডে ছাড়া) সকাল ১০ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত ঘাম ঝড়াবে। 

যদিও সকালে অনুশীলন করে সন্ধ্যায় ফ্লাডলাইটে খেলায় কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে করেন বাংলাদেশের কোচ ছোটন। তিনি বলেন,‘আমরা সকালে অনুশীলন করে অভ্যস্ত এবং এই মাঠেই আমরা বছরের প্রায় সময় অনুশীলন করি। ফ্লাডলাইটে অনুশীলন না হলেও সমস্যা হবে না।’ 

কমলাপুর স্টেডিয়াম বাফুফে ব্যবহার করলেও এটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সম্পত্তি। ফ্লাডলাইটও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন। ছোটন নারী দলের প্রধান কোচ হলেও ট্যাকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি অনুশীলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ফ্লাডলাইটে অনুশীলন না করার ক্ষেত্রে ফেডারেশনের অনুমতি বা পল স্মলির সম্মতি কোনো কিছুই বাধা ছিল না বলে মন্তব্য করেন ছোটন,‘আসলে আমরা সকালেই অনুশীলন সূচি ঠিক করেছি। অন্য কোনো বিষয় এখানে ছিল না’।

কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফ অনেকটা ঝুকিপূর্ণ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের ক্লাবগুলো এই ভেন্যুতে খেলতে চায় না। জুনিয়র ডিভিশন লিগে এই ভেন্যুতে খেলে ইনজুরিতে পড়েন অনেক। এই টার্ফে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে নারীরা কতটুকু নিরাপদ এমন প্রশ্নের উত্তরে ছোটন বলেন,‘আমরা এই ভেন্যুতে অনুশীলন ও ম্যাচ খেলে অভ্যস্ত। তেমন সমস্যা হয়নি। তাছাড়া টার্ফের বিষয়ে মন্তব্য করার মতো বিশেষজ্ঞও আমি নই’। 

এজেড/এফআই