কাতার বিশ্বকাপের আগে সম্ভাব্য সব পুরস্কারই দখলে নিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। শুধু বাকি ছিল বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফির ছোঁয়া। মরুর বুকে সেই অপূর্ণতাও ঘুচিয়েছেন ফুটবল জাদুকর। বিশ্বকাপ যাত্রায় প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই উদ্‌যাপনে আর্জেন্টাইন ভক্তরা মেতে উঠেছেন বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে। কোরাস গেয়েছেন, মেসি-এনজোদেরও গাইয়েছেন। 

মেসিদের ম্যাচ শেষ হলে ‘মুচাওস’বা ‘ল্যান্ড অফ ডিয়োগো অ্যান্ড লিওনেল’ গানের কোরাস ধরতেন তারা। সেই সুর উদ্‌যাপনের পালে বাড়তি আমেজ তৈরি করতো। তবে এর বাইরে কিছু গান চরম স্নায়ুচাপের মুহূর্তেও আলবিলেস্তাদের মনে সাহস জুগিয়েছিল। প্রেরণা দিয়েছিল মনোবল দৃঢ় রাখতে। আর্জেন্টাইন পত্রিকা ওলে'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই প্রসঙ্গে বলেছেন এলএমটেন।

বিশ্বকাপ জয়ের মাস খানেক পর মেসি একটি গান সংযুক্ত করে পোস্ট করেন। এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দে লা সোল’ গানটি আমাদের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টের আগে দুটি গান আমাদের অনুভূতি ভালো করে দিতো। এসব মুহূর্ত আমাদের কাছে বিশেষ গুরুত্বের। ‘দে লা সোল’ মূলত কোপা’র সঙ্গে বিশ্বকাপের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করে দিয়েছে। সে কারণে গানটি তাই পুরো দলের কাছে বিশেষ কিছু।’

আরও পড়ুন-মেসির ইনস্টাগ্রাম চালায় কে, জানলে অবাক হবেন

ফুটবলের এই মহাতারকা আরও যোগ করেন, ‘অনুশীলন, লকার রুম এমনকি যাত্রাপথেও আমরা গানটি গাইতাম। সবমিলিয়ে আমরা ৩-৪টি গান শুনতাম। এর মধ্যে দে লা সোল অন্যতম।’

ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় কাতারে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে তুলতে পারাটা মেসির চোখে সিনেমার দৃশ্যের মতো। ট্রফির আশায় ১৯ বছর বয়সে প্রথমবার বিশ্বকাপ মঞ্চে পাঁ রেখেছিলেন। এরপর বিশ্বকাপে খেলেছেন আরও তিনবার। কিন্তু সেই আরাধ্য ট্রফির দেখা মেলেনি। ২০২২ সালের শেষদিকেই এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। শুধু বিশ্বকাপই নয়, এই আসরেই নিজের সেরা ফুটবল খেলেছেন আর্জেন্টাইন তারকা। আগের চার বিশ্বকাপ মিলিয়ে মোট গোল যেখানে ৬টি, সেখানে এবারের এক আসরেই করেছেন ৭ গোল।

এএইচএস