এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ফুটবল ভালোবাসেন, অথচ তার নাম জানে না এমন কাউকে পাওয়া যাবে না। কিন্তু, কিছু দিন আগের কথাই ধরুন কে চিনতো তাকে। খোদ আর্জেন্টিনার কোচের খাতাতেও যে ছিলেন না তিনি।

গেল কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার বিকল্প গোলরক্ষক হয়ে খেলতে নেমেছিলেন। কিন্তু তারপর সবটাই ইতিহাস। ২৮ বছর পর আলবিসেলেস্তেদের কোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। আর সবশেষ তো নিজেকেই ছাড়িয়ে গেলেন। তিন যুগ পর আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানোর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। 

অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে কাতার বিশ্বকাপের গোল্ডেন গ্লোব জিতে নিয়েছিলেন। এছাড়া অ্যাস্টন ভিলার এ গোলরক্ষক ২০২২ সালে ফিফার সেরা গোলরক্ষক অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছেন। এবার উঠে এলেন সংক্ষিপ্ত তালিকাতেও। 

মার্টিনেজ ছাড়াও সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন মরক্কোর ইয়াসিন বুনো ও বেলজিয়ামের থিবো কর্তোয়া। ২০২১ সালের ৮ আগস্ট থেকে ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে এ তিনজনের পারফরম্যান্স বিবেচনায় আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বিজয়ীর নাম ঘোষণ করবে ফিফা। আন্তর্জাতিক এবং ক্লাব পর্যায়ের পারফরম্যান্স বিবেচনায় ফিফা সেরা গোলরক্ষককে বেছে নেবে। এর আগে গত বছর সেনেগাল ও চেলসির গোলরক্ষক এদুয়ার্দ মেন্ডিকে সেরা গোলরক্ষকের অ্যাওয়ার্ড তুলে দিয়েছিল ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

মার্টিনেজ ছাড়াও তালিকায় আছেন ইয়াসিন বুনো ও থিবো কোর্তোয়া।

 

এবার সেরা গোলরক্ষকের দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে আছে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। ফিফা তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে , প্রশ্নাতীতভাবে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে বড় ভূমিকা ছিল মার্টিনেজের।

বিশ্বকাপের ফাইনালের ফ্রান্সের বিপক্ষে ১২৩ মিনিটে কোলো মুয়ানির করা শট ঠেকিয়ে দিয়ে তিনি আলবিলেস্তেদের নিশ্চিত পরাজয় থেকে বাঁচান। ফিফার চোখে যেটি ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেভ। কারণ, এই একটি সেভ তাদের শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে সাহায্য করেছে।

ফিফা তাদের প্রতিবেদনে আরও জানায়, পুরো বিশ্বকাপ আসরজুড়েই দুর্দান্ত ছিল মার্টিনেজ। নেদারল্যান্ডস এবং ফ্রান্সের বিপক্ষে টাইব্রেকারে তার গোলকিপিং নৈপুণ্যের কারণেই বিশ্বকাপ ঘরে তোলে আর্জেন্টিনা।

এফআই