স্টেডিয়াম এসেও মঞ্চে অনুপস্থিত সালাউদ্দিন
ম্যাচের তখন মধ্য বিরতি। প্রেস বক্সে সাংবাদিকরা হাফ টাইমের রিপোর্ট লিখছিলেন। সেই সময় বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন আকস্মিকভাবে প্রেস বক্সে আসেন। মিনিট দশেকের উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিলেও ফাইনাল শেষে পুরস্কার প্রদান মঞ্চে অনুপস্থিত ছিলেন সালাউদ্দিন।
বাংলাদেশের ফুটবলের কিংবদন্তী কাজী সালাউদ্দিন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়া ফুটবল ফেডারেশনেরও সভাপতি। পুরস্কার প্রদান মঞ্চে তার উপস্থিত হওয়া ছিল আবশ্যিক। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সাফের সাধারণ সম্পাদক, বাফুফের অন্য কর্মকর্তারা থাকলেও সভাপতি সালাউদ্দিন ছিলেন না।
বিজ্ঞাপন
নেপালের কাঠমান্ডুতে সাবিনারা যখন চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তখনও পুরস্কার প্রদান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন না সাফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তিনি মাঠে থাকলে মেয়েরা বাড়তি চাপে থাকতে পারেন এজন্য কাঠমান্ডু যাননি। আজ কমলাপুর স্টেডিয়ামে এসেছিলেন৷ ফাইনাল ম্যাচ দেখলেও পুরস্কার প্রদান মঞ্চে যাননি।
নানা সূত্রে সালাউদ্দিনের মঞ্চে অনুপস্থিতির কারণ সম্পর্কে জানা গেছে, মঞ্চে তিনি থাকলে সাফ সভাপতি হিসেবে তাকেই চ্যাম্পিয়ন ট্রফি প্রদান করতে হতো। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে এসেছেন। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী যেন চ্যাম্পিয়ন ট্রফি প্রদান করতে পারেন এজন্যই সালাউদ্দিন মঞ্চে যাননি। নারী ফুটবলের সঙ্গে সেভাবে সম্পৃক্ত না থাকলেও সাফল্যের মুহূর্তগুলোতে উপস্থিত থাকেন ফেডারেশনের অন্যতম সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহী। আজও মঞ্চে ছিলেন ফেডারেশনের এই কর্মকর্তা।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ দলের মেডেল ব্যবস্থাপনা নিয়ে অসন্তোষ দেখা গেছে। বাংলাদেশ দলের সঙ্গে এক কোচিং স্টাফ মেডেল পাননি। ২৩ খেলোয়াড়ের সঙ্গে সাত অফিসিয়ালের মধ্যে তাঁর নাম না থাকায় মেডেল পাননি। সহকারী কোচ না পেলেও কর্মকর্তারা মেডেল গ্রহণ করেছেন৷ এতে কোচিং স্টাফের সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কোচের রাগ মেটাতে খেলোয়াড়রা নিজেদের মেডেল নিয়ে দৌড়াতে থাকেন।
বাংলাদেশ চার জন দলনেতা থাকলেও আজ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তিন জনের দলনেতার নাম ঘোষণা দেন সঞ্চালক। ফেডারেশনের সহ- সভাপতি আতাউর রহমান ভুইয়া মানিক দলনেতা-১ হলেও নাম ঘোষণা হয়নি। এই টুর্নামেন্টে স্টেডিয়ামে তাকে সেভাবে দেখাও যায়নি। দলনেতা-২ জাকির হোসেন চৌধুরির নাম সঞ্চালক ঘোষণা করলেও তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি আগেই এই কন্টিনজেন্ট থেকে তার নাম প্রত্যাহারের জন্য মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান কিরণকে কয়েকবার অবহিত করেছিলেন। দুই সহকারী দলনেতা (নুরুল ইসলাম নুরু ও টিপু সুলতান) অবশ্য মেডেল গ্রহণ করেছেন।
এজেড/