সদ্য সমাপ্ত কাতার বিশ্বকাপ নিজেদের করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। দলের কিংবদন্তী তারকা লিওনেল মেসির হাত ধরেই ৩৬ বছর পর আলবিসেলেস্তারা নিজেদের শিরোপাখরা কাটিয়েছে। দলের প্রাণভোমরার এই সময়টাকে ‘বসন্ত কাল’র সঙ্গে তুলনা করেছেন বিশ্বজয়ী কোচ স্কালোনি। দিয়েগো ম্যারাডোনার পর আর্জেন্টিনাকে বিশ্বজয় উদযাপনের সুযোগ করে দেওয়া এই তারকাকে তাই তো পরবর্তী বিশ্বকাপেও দেখতে চান ভক্ত ও সতীর্থরা। এমনকি কোচ স্কালোনিও তাকে ২০২৬ সালে দলে রাখতে যা প্রয়োজন তা বাতলে দিয়েছেন।

ইতালিতে এক জমকালো অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন এই আর্জেন্টাইন কোচ। সেখানে ইএসপিএন কলম্বিয়ার সঙ্গে আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির ভবিষ্যত নিয়ে তিনি কথা বলেছেন। স্কালোনি জানান, ‘পরবর্তী বিশ্বকাপে লিও খেলবে কিনা, এটি তার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর। সে যদি ফিট থাকে, তার সেখানে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।’

বিশ্বকাপ জয় পুরো দলকে অনেক বেশি সম্মানিত করেছে উল্লেখ করে স্কালোনি বলছেন, ‘আমাদের এই চ্যাম্পিয়ন টাইটেল অর্জনের পেছনে আর্জেন্টাইন ভক্ত, দলের স্টাফ এবং খেলোয়াড়দের তীব্র আকাঙ্ক্ষার একটি সংযোগ কাজ করেছে। তাদের এই আবেগ অনেক শক্তিশালী করে তুলেছে চ্যাম্পিয়নদের বিশেষ জামাকে।’

আরও পড়ুন : ‘ইন্টার মিয়ামিতেই যাচ্ছেন মেসি!’

মহাতারকা মেসির মতো খেলোয়াড়দের মতো কাউকে কোচিং করাও আনন্দের বলে মনে করেন আলবিসেলেস্তা কোচ, ‘মেসি সবার সেরা। সে দলে থাকা মানে এটি পুরো দলের জন্য আলাদা অ্যাডভান্টেজ হিসেবে কাজ করে। তার সঙ্গে ট্রেনিংয়ে অংশ নেওয়াও অনেক চমৎকার বিষয়। আমি দেখেছি, লিও’র উপস্থিতি দলের অন্য সতীর্থদের উজ্জীবিত করে। তারা তাকে অনুসরণ করে।’

ফুটবল সংশ্লিষ্টদের অনেকেই মনে করেন, ২০২২ বিশ্বকাপ ছিল মেসির জন্য শেষ সুযোগ। তবে, ৩৫ বয়সী এই তারকা ফুটবলার সেই সুযোগকে যথাযথভাবেই কাজে লাগিয়েছেন। ১৯৮৬ সালের পর প্রথমবারের মতো তিনি বিশ্বকাপ জয়ের গৌরভ এনে দিয়েছেন দলকে। এমনকি ব্যক্তিগত অনেক অর্জনে একমাত্র বিশ্বকাপের আক্ষেপ এই আসরের মাধ্যমেই মেসি মিটিয়ে দিয়েছেন। তাই আগে থেকেই কাতার বিশ্বকাপের পর মেসির অবসরের গুঞ্জন নিয়ে নতুন করে ভাবতে চান সমর্থকরা।

এদিকে, বিশ্বকাপ জয়ের পর নতুন করে ক্যারিয়ারকে আরো দীর্ঘায়িত করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মেসি। জানিয়েছেন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে তিনি আবারও আকাশি-সাদা জার্সি গায়ে তুলতে চান। তবে আগামী বিশ্বকাপের আগে ক্লাবের খেলাতেই বেশি ব্যস্ত থাকতে হবে মেসিকে। তবে তিনি বর্তমান ক্লাব পিএসজিতে থাকবেন নাকি অন্য কোনো ক্লাবে নিজের ভব্যিষত গড়বেন সেটিই এখন মূল আলোচনার বিষয়।

এএইচএস