টানা দুই ম্যাচ জয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে জয়ের ধারায় ফিরেছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। রেড ডেভিলসরা সেটি আর দীর্ঘ করতে পারল না। এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ঘরের মাঠে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল তারা। সেই দগদগে স্মৃতিই কি-না এই ম্যাচে মোহামেদ সালাহদের ওপর চেপে বসেছে! একের এক মিসের মহড়ায় গোলশূন্য ড্র নিয়েই মাঠ ছেড়েছে তারা।

ক্রিস্টাল প্যালেস সালাহদের ঠেকিয়ে দিলেও তারা ম্যাচে ততটা লড়াই জমিয়ে তুলতে পারেনি। ম্যাচে সমতায় থাকার দায়ভার লিভারপুলের খেলোয়াড়রা গোলভারের ওপর চাপাতে পারে। কারণ তাদের একাধিক বল ফিরেছে পোস্টে লেগে। কিন্তু তাদের নিজেদের দায়ও কম নেই। বারবার সুযোগ হাতছাড়া করে লিভারপুল ফরোয়ার্ডরা প্যালেসকেই পয়েন্ট এনে দিয়েছেন।

প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার সালাহরা গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল। তবে সেগুলো তারা স্কোরে রূপ দিতে ব্যর্থ হয়। বিরতির আগে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড জোতার হেড ক্রসবারে লাগে। অন্যদিকে, এই সময়ের মধ্যে একবারও লক্ষ্যে শট নিতে পারেনি প্যালেস। ফলে গোলশূন্য ড্র নিয়েই তারা বিরতিতে যায়। অবশ্য কেউ হয়তো তখনও ধারণাই করেনি যে, এই স্কোরই শেষ পর্যন্ত বহাল থাকবে।

বিরতির পর চতুর্থ মিনিটে আবারও ক্রসবারে দুর্ভাগ্যের শিকার হয় লিভারপুল। আলেক্সান্ডার-আর্নল্ডের শট প্যালেস রক্ষণে বাধা পেয়ে চলে এসে থামে সালাহ’র কাছে। মিশরীয় ফরোয়ার্ডের জোরালো শট প্রতিহত করার সুযোগ ছিল না প্যালেস গোলরক্ষক ভিসেন্তে গুইতার। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এবারও বল আঘাত হানে ক্রসবারে।

 ৮১ মিনিটে আরও একটি ভাল সুযোগ পায় লিভারপুল। প্যালেস রক্ষণ চিরে কোডি গাকপোকে বল বাড়িয়েছিলেন সালাহ। ছুটে আসা গোলরক্ষককে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টায় বল বাইরে মেরে দেন চলতি বছর লিভারপুলে যোগ দেওয়া এই ডাচ ফরোয়ার্ড। একের পর এক সম্ভাবনা নষ্টের কারণে শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে ক্লপের দলকে। 

২০২৩ সালে জয়বিহীন আরেকটি ম্যাচ নিয়ে মাঠ ছাড়ে পয়েন্ট তালিকার ১২তম স্থানে থাকা ক্রিস্টাল প্যালেস। একইসঙ্গে রেড ডেভিলসরা মৌসুমের তৃতীয় ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে। ২৩ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট তুলে তালিকায় অবস্থান ৭ নম্বরে। চারে থাকা টটেনহামের চেয়ে পিছিয়ে ৬ পয়েন্টে।

এএইচএস