১৮ বছর বয়সেই ইউরোপীয় সব পরাশক্তি ক্লাবের চাহিদায় ছিলেন আলেজান্দ্রো গার্নাচো। তবে সব লড়াই থামিয়ে শেষ পর্যন্ত তাকে দলে ভেড়ায় ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। স্প্যানিশ বাবা ও আর্জেন্টাইন মায়ের কল্যাণে গার্নাচো দু’দেশেরই নাগরিকত্ব পেয়েছেন। মাদ্রিদে জন্ম হলেও যে কোনো একটি দেশের হয়ে খেলার স্বাধীনতা আছে তার। ইমার্জিং এই খেলোয়াড়কে পেতে তাই দ্বৈরথ চালিয়ে যাচ্ছে স্পেন ও আর্জেন্টিনা। তবে সব জল্পনা থামিয়ে গার্নাচোকে আলবিসেলেস্তাদের দলে ডাক দিয়েছে কোচ লিওনেল স্কালোনি।

অবশ্য এর আগেও মেসিদের জুনিয়র দলে খেলেছেন গার্নাচো। তবে শুধু আর্জেন্টিনার হয়েই নয়, স্পেনের বয়সভিত্তিক দলের জার্সিও গায়ে জড়িয়েছেন তিনি। তাই গার্নাচোকে জাতীয় দলে পাওয়া নিয়ে সংশয়ে ছিল স্পেন। গার্নাচো রাজি থাকলে স্পেন জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামার সুযোগ করে দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছিল। স্কালোনি তাকে ঘোষিত দলে সুযোগ দিয়ে স্পেনের সেই স্বপ্নকেই ভেঙে দিলেন।

জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার পর গার্নাচোর ইনস্টাগ্রাম স্টোরি

দলে ডাক পেয়ে বেশ রোমাঞ্চিত গার্নাচো। স্কোয়াডের ছবি নিজের সামাজিক মাধ্যমের স্টোরিতে দিয়েছেন তিনি। এর সঙ্গে তিনি একটি উত্তেজনাপূর্ণ ইমোজি ও আর্জেন্টিনার পতাকার রঙের দুটি হার্ট ইমোজি জুড়ে দেন।

আসন্ন মার্চের দুটি প্রীতি ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে আর্জেন্টিনা। ৩৫ সদস্যের এই দলে ডাক পেয়েছেন কয়েকজন তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলার। তাদের মধ্যে রয়েছেন সর্বশেষ ট্রান্সফার উইন্ডোতেও আলোচনায় থাকা গার্নাচো। বিশ্বকাপজয়ের পর আর্জেন্টিনা তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ২৩ মার্চ পানামার বিপক্ষে আর দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে ২৮ মার্চ কুরাসাওয়ের বিপক্ষে সান্তিয়াগো দেল এস্তোরোর মাদ্রে দে সিউদাদেস স্টেডিয়ামে।

২০২০ সালে ফিফা কোনো খেলোয়াড় একইসঙ্গে দুটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করলে তার জন্য নতুন নিয়ম তৈরি করে। সেই অনুসারে, ফিফা কিংবা আঞ্চলিক ফুটবল সংস্থার অধীনে যদি ওই খেলোয়াড় নির্দিষ্ট একটি দেশের হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলেন, তাহলে তিনি ওই দেশের খেলোয়াড় বলেই বিবেচিত হবেন। তবে, যদি শুধুমাত্র একটি ম্যাচে অংশ নেন, তবে ভিন্ন আরেক দেশের হয়ে খেলতে তাকে তিন বছর অপেক্ষা করতে হবে। 

এর আগে আর্জেন্টিনার বয়সভিত্তিক দলে খেলেছিলেন গার্নাচো

গার্নাচো ইতোমধ্যে স্পেন ও আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নেমেছেন। তবে আর্জেন্টিনার বয়সভিত্তিক দলে তিনি দুটি ম্যাচ খেলেছেন। আসন্ন প্রীতি ম্যাচের একটি খেলাতেও তাকে মাঠে দেখা গেলে তিনি পুরোপুরি মেসিদের উত্তরসূরি হয়ে যাবেন। যে সুযোগটা স্বাভাবিকভাবেই স্কালোনি হারাতে চাইবেন না।

ইউনাইটেডের হয়ে দারুণ সময় কাটানোর ফলেই মূলত এ পুরস্কার পেলেন তিনি। ম্যানইউর হয়ে সবশেষ ম্যাচেও এক গোল করেন তিনি। দলে অবধারিতভাবে রয়েছেন বর্তমান বিশ্বের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। আক্রমণভাগ সামলাবেন তিনিই। তার পাশে থাকবেন জুলিয়ান আলভারেজ, ম্যাক অ্যালিস্টার ও ডি মারিয়ারা। 

এএইচএস