কাতার বিশ্বকাপ ছিল মহাতারকা লিওনেল মেসিদের ষোলআনা জয়ের আসর। বিশ্ব ফুটবলের জনপ্রিয় টুর্নামেন্টের পর্দা নামার তিন মাস পার হয়েছে। কিন্তু এখনও সে সময়ের নানা ঘটনাপ্রবাহ দু’দিন পরপরই আলোচনায় টেবিলে হাজির। খুব সম্ভবত পরবর্তী বিশ্বকাপ কিংবা তার পরেও স্মরণীয় হয়ে থাকবে খুঁটিনাটি সব দৃশ্য। কাতার বিশ্বকাপ দিয়ে ফ্রান্স টানা দু’বার শিরোপা জয়ের ম্যাচে নেমেছিল। তবে তাদের টানা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন মেসিরা। সেই হারের চেয়ে মেসিদের আচরণে বেশি হতাশ হয়েছেন ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশম।

ফাইনালে মেসি ও আনহেল ডি মারিয়ার গোলের পর এমবাপের গোলে তৈরি হয় চরম নাটকীয়তা। এরপর ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণে ট্রাইব্রেকারের আয়োজন করা হয়। আর সেখানেই ফরাসিদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেয় লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। এরপর তারা উদ্দাম আনন্দে মেতে উঠেন। তাদের উচ্ছ্বাসও ছিল মাত্রাছাড়া, আর হবেও না বা কেন! ৩৬ বছরের শিরোপাখরা কাটিয়ে আলবিসেলেস্তাদের তৃতীয় বিশ্বকাপ অর্জন।

মার্টিনেজের সেই বিতর্কিত উদ্‌যাপন

এরপর এমিলিয়ানো মার্টিনেজদের সেই উদ্‌যাপনকে বাড়াবাড়ি মনে হয়েছে অনেকের কাছেই। ফাইনালের পর উদ্‌যাপনে এমবাপেকে নিয়েও কৌতুক করেছেন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা। বিশেষ করে আর্জেন্টিনার গোলকিপার মার্টিনেজ। তার হাতে এমবাপের মুখোশ পরিহিত পুতুল নেওয়ার ঘটনায় অনলাইন-অফলাইনে ফুটবলভক্তরা সমালোচনায় নামেন। সেই উদ্‌যাপন পছন্দ হয়নি ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশমেরও। এত দিন পরও বিষয়টি নিয়ে তিনি বলছেন, আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের এই উদ্‌যাপন ছিল ‘অগ্রহণযোগ্য’!

আরএমসি স্পোর্টসকে দেশম বলেন, ‘তাদের ছাদে উঠে লাফালাফি আর উচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়াতে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু এতে শ্রদ্ধাবোধের ছিটেফোঁটাও আর থাকেনি। এমনটা কারও প্রাপ্য নয়, বিশেষ করে কিলিয়ানের (এমবাপে)। এটা ছিল অগ্রহণযোগ্য আচরণ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাত্রা ছাড়ানো।’

আরও পড়ুন : ‘এমবাপেকে ব্যঙ্গ করা নিয়ে মুখ খুললেন মার্টিনেজ’

এরপর অবশ্য সেই ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক মার্টিনেজ, ‘ওই সময় মানুষ আমাদের দিকে প্রচুর পুতুল ছুড়ে মারছিল। পুরো পথে অন্তত একশ’র মতো পুতুল এসেছে আমাদের কাছে। এর মধ্যে এমবাপের মুখ লাগানো একটা পুতুল আমার পায়ের কাছে এসে পড়ে। দেখে হাসি আসায় ওটা আমি তুলে নিই। দুই সেকেন্ডের মতো আমার হাতে ছিল। এরপর আবার বাইরে ছুড়ে দিই। ঘটনা এটাই।’

এমবাপেকে নিয়ে মজা না করার কথা উল্লেখ তিনি বলেন, ‘এখানে এমবাপেকে নিয়ে আমি কীভাবে মজা করলাম? সে তো আমার বিপক্ষে চারবার বল জালে পাঠিয়েছে। বিশ্বকাপ ফাইনালে চার গোল...আমাকে তো ওর পুতুল ভাবার কথা। আবারও বলছি, আমি এমবাপেকে অতিশয় সম্মান করি এবং এটাও বলে দিচ্ছি, আমার দেখা ফ্রান্সের খেলোয়াড়দের মধ্যে সে–ই সেরা।’

এএইচএস