ফুটবল মাঠে জরুরি মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিতে রেফারিরা জায়ান্ট স্ক্রিন কিংবা ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) ব্যবহার করেন। কিন্তু এই সুবিধা না থাকলে তারা কিভাবে ম্যাচ পরিচালনা করবেন? এমনই এক ঘটনা ঘটেছে মিশরের দ্বিতীয় সারির একটি প্রতিযোগিতার ম্যাচে। ম্যাচের শেষ দিকে বল জালে পাঠায় আল-নাসর। কিন্তু সেটি গোল কিনা সেই সিদ্ধান্ত নিতে রেফারি দ্বারস্থ হন মোবাইল ফোনের। এরপর আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেওয়া রেফারি মোহামেদ ফারুককে বরখাস্ত করা হয়েছে।

মিশরীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রেফারি কমিটির প্রধান হিসেবে মার্ক ক্ল্যাটেনর্গের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ভিতোর পেরেইরা। পেরেইরা পুরো রেফারি কর্মীদের ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য’ বরখাস্ত করেছেন।

এর আগে শুক্রবার (১৭ মার্চ) সুয়েস ও আল-নাসরের মধ্যে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। সেই ম্যাচে ম্যাচের শেষ দিকে সুয়েসের জালে বল পাঠায় আল-নাসর। ক্লাবটি ভেবেছিল তারা হয়তো সমতা ফিরিয়েছে ম্যাচে। কিন্তু হ্যান্ডবলের আবেদন করে সুয়েসের খেলোয়াড়রা। এই প্রতিযোগিতায় ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তির ব্যবহার নেই। তবে এক দর্শকের ফোন ব্যবহার করে দীর্ঘ সময় ভিডিও পর্যালোচনার পর গোল বাতিল করেন ফারুক।

ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের পর যোগ করা হয় ১৫ মিনিট। শেষ পর্যন্ত সুয়েস ৩-১ গোলে ম্যাচ জিতে যায়। ম্যাচ শেষে আল-নাসরের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের প্রতিবাদের মুখে পুলিশি নিরাপত্তায় মাঠ ছাড়তে হয় ফারুককে। পরবর্তীতে নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য ফারুকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল আল-নাসর।

এএইচএস