আলো দেখার অপেক্ষায় ‘অন্ধকার’ ক্লাবগুলো
ভুক্তভোগী ক্লাবগুলোর কর্তৃপক্ষ আজ যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।
ক্যাসিনো কান্ডে মতিঝিল ক্লাবপাড়ায় অনেক ক্লাব তালাবদ্ধ। ক্লাবগুলো বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করলেও কর্মকর্তারা অফিস কার্যালয় ও খেলোয়াড়রা ক্যাম্প করার সুযোগ পাচ্ছেন না। গত তিন বছর ধরে বেশ কষ্টে দিন কাটছে ভিক্টোরিয়া, ওয়ান্ডারার্স, আরামবাগ, ফকিরেরপুল ক্লাবের। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক ফুটবলার আব্দুল গাফফারের উদ্যোগে ভুক্তভোগী ক্লাবগুলো আজ (বুধবার) যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে৷
দুই মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একটা সুখবর পাওয়ার আশ্বাস দিলেন সাবেক তারকা ফুটবলার আব্দুল গাফফার,‘প্রথমে আমরা যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করি এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দুই মন্ত্রীই অত্যন্ত আন্তরিকতা দেখিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঈদের পর একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে ক্লাবগুলো খুলে দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস প্রদান করেছেন।’
ক্লাবগুলোতে অবৈধ ক্যাসিনো চলত। ক্যাসিনোর সঙ্গে অভিযুক্ত অনেকেই এখন জামিন নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন কিন্তু ক্যাসিনোর সাজা ভোগ করছে ক্লাবগুলো। ঈদের পর ক্লাবগুলোর তালা খুললেও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকবে মন্ত্রণালয়ের, ‘আশা করা যাচ্ছে ক্লাবগুলো খুব দ্রুতই খুলবে। ক্যাসিনো বা অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িতদের ক্লাবের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা যাবে না এবং এর পাশাপাশি কিছু নির্দেশনা থাকবে।’ নির্দেশনা অনুসরণ করেই ক্লাবগুলো খুলবে এবং পরিচালিত হবে বলে জানান বিশিষ্ট সংগঠক গাফফার।
বিজ্ঞাপন
দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাবগুলো ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, ভলিবলসহ নানা খেলা খেলে থাকে। বিশেষ করে ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত সব ক্লাবই ফুটবল লিগ খেলে। ফুটবল লিগের সময় ক্লাবগুলো খেলোয়াড়দের ভাড়া বাসায় কিংবা কর্মকর্তাদের বাসায় রেখে নাভিশ্বাস উঠেছিল। ফুটবল ফেডারেশনের শীর্ষ কর্তারা শুধু মৌখিক আশ্বাসের মধ্যেই ছিলেন।
ফেডারেশনে না থেকেও সাবেক তারকা ফুটবলার গাফফার ক্লাবগুলোর দুরবস্থা নিরসের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন বেশ কয়েকমাস ধরে। ক্রীড়া অন্তঃপ্রাণ গাফফারের অক্লান্ত প্রয়াস অবশেষে সফল হওয়ার পথে।
বিজ্ঞাপন
এজেড/এফআই