সাধারণত ম্যাচ ডের পর দুই দিন ছুটি কাটান পিএসজির ফুটবলাররা। কিন্তু সর্বশেষ ম্যাচে লঁরিয়ার বিপক্ষে বাজেভাবে হার এবং সাম্প্রতিক ব্যর্থতার কারণে পরদিনই (সোমবার) ছুটি বাতিল করে অনুশীলনে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয় মেসি-এমবাপেদের। কিন্তু ততক্ষণে আর্জেন্টাইন তারকা উড়াল দিয়ে ফেলেছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে। ক্লাবের চোখরাঙানি উপেক্ষা করেই মেসির হঠাৎ সৌদিযাত্রার বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি কর্তৃপক্ষ। মতের বাইরে যাওয়ায় তাকে দুই সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

পিএসজিতে এমনিতেই মেসির ভবিষ্যৎ ঝুলছিল। আগামী জুনে চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে চললেও এতদিনেও নতুন চুক্তি হয়নি। তার ওপর হঠাৎ শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে শাস্তি পাওয়ার পর ক্লাবটির সঙ্গে আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ীর বিচ্ছেদ হচ্ছে- তা একপ্রকার চূড়ান্ত। তবে প্রশ্ন হতে পারে সৌদি আরবে মেসির কী এমন  কাজ যে অনুমোদন না পাওয়া সত্ত্বেও যেতে মরিয়া হলেন?

সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি সৌদি আরবের পর্যটনবিষয়ক শুভেচ্ছাদূত। সৌদিতে মেসির চলমান সফরও সেটিরই অংশ। এবারের সফরে দেশটির বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়িয়ে সৌদির পর্যটন খাতকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরছেন তিনি। তার সঙ্গে স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো ও তিন সন্তানও আছে। 

গত বছর মেসিকে পর্যটনদূত হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিলেন সৌদি আরবের পর্যটনমন্ত্রী আহমেদ আল-খাতেব। তবে দুই পক্ষের মধ্যে কত দিনের চুক্তি হয়েছে বা বিনিময়ে কী পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে—এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। আরএমসি স্পোর্টস জানিয়েছে, দেশটির পর্যটন দূত হওয়ার চুক্তি থেকে ৩ কোটি ডলার পাচ্ছেন মেসি। 

এদিকে, আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম লা ন্যাসিওন বলছে, অ্যাম্বাসেডর হওয়ার খবরটি ব্যতীত মেসি-সৌদি সরকার চুক্তির পুরোটাই গোপন রাখা হয়েছে। তবে পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন তথ্য বিবেচনায়, মেসি-সৌদি সরকার চুক্তিটির আর্থিক মূল্য কয়েক মিলিয়ন মার্কিন ডলার বলে ধারণা করা যায়।

মেসির আগে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকেও সৌদি আরবের দূত হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে জানায় ব্রিটিশ মিডিয়া। তবে রোনালদো এমন প্রস্তাব সে সময় গ্রহণ করেননি। 

এফআই