ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারে সাবিনাদের অলিম্পিক বাছাইয়ে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই নানা সমালোচনায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সর্বশেষ আজ হাইকোর্ট থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে চার মাসের মধ্যে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগসহ ফুটবল ফেডারেশনের আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদান করার।

আজ সকালে হাইকোর্ট থেকে এই নির্দেশনা আসার ঘন্টা দু’য়েকের মধ্যে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ফেডারেশনে আসেন। ভবনের নিচেই উপস্থিত সাংবাদিকরা সালাউদ্দিনের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে কিছুক্ষণ পর উপস্থিত সবাইকে ডেকে কথা বলবেন বলে জানান। ফেডারেশনে তার কক্ষে উপস্থিত অন্য কর্মকর্তাদেরও তিনি বলেছিলেন মিডিয়ায় এই বিষয়ে কথা বলবেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। সাংবাদিকরা অবশ্য বাফুফে ভবনে অপেক্ষায় থাকেন দীর্ঘক্ষণ। প্রবেশের মতো সালাউদ্দিন বেরিয়ে যাওয়ার পথেও সাংবাদিকদের সামনে পড়েন। তখন পুনরায় তাকে জিঞাসা করলে তিনি আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেননি।

সম্প্রতি বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন গণমাধ্যমে কথা বলতে এসেই নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হচ্ছেন তাই এই বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার গণমাধ্যমকে বলেন, 'এখনো আমরা নির্দেশনার কোনো কপি পাইনি। আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি অবগত হওয়ার পর আপনাদেরও অবহিত করা হবে।’

আরও পড়ুন>>> দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত কাজী সালাউদ্দিন

বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা তার অধীভুক্ত সংস্থাগুলোতে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ গ্রহণ করে না। তৃতীয় পক্ষের বড় ধরনের হস্তক্ষেপ থাকলে সেই সংস্থাকে বহিষ্কারও করে। দুদকের প্রতি হাইকোর্টের এই নির্দেশনা ফিফার আইন ও দৃষ্টিতে কেমন এ নিয়েও বাফুফে কর্তারা কিছু বলেননি।

বাফুফেতে দুর্নীতির বিষয়টি অবশ্য নতুন নয়। এর আগে দুদক বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, নির্বাহী সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেনকে চিঠি দিয়েছিল। সেই তদন্ত বেশ কিছু দিন চলার পর কাজী সালাউদ্দিনের তদন্তে কিছু পাওয়া যায়নি বলে চিঠি দিয়ে নিষ্পত্তিও করেছিল।

এজেড/এইচজেএস