ছবি: সংগৃহীত

আগের পাঁচটি ইউরোপিয়ান ফাইনালেই জিতেছেন মরিনিও। হারের পদক রাখেন না পর্তুগিজ এই কোচ। আর ফাইনালে হারের পদকটা ছুড়ে মেরেছেন পুসকাস অ্যারেনার গ্যালারিতে এক খুদে এএস রোমা সমর্থকের প্রতি। সেই ছবি নিয়ে মজাও করা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

টুইটারে কেউ কেউ সেই খুদে দর্শককে পরামর্শ দিয়েছেন, পদকটা যত্নে রেখো, মরিনিওর হারের পদক বিরল। স্বয়ং মরিনিওর কাছে অবশ্য এই পদকের দাম নেই। তাঁর মুখেই শুনুন, ‘হ্যাঁ (পদক) ছুড়ে মেরেছি। আমি হারের পদক চাই না, এগুলো সংরক্ষণও করি না, তাই দিয়ে দিয়েছি।

রোমার ডাগআউটের ওপর গ্যালারিতে খুদে সমর্থককে পদকটি দিয়েই মাঠের টানেল দিয়ে ঢুকে পড়েন মরিনিও। বোঝাই যাচ্ছিল নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে ৪-১ ব্যবধানে হার পর্তুগিজ কোচের মেনে নিতে কষ্ট হয়েছে। আর ফাইনালটাও ছিল বিশৃঙ্খলায় ভরপুর। মোট ১৩ জন খেলোয়াড়কে হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন রেফারি অ্যান্থনি টেলর, যা ইউরোপা লিগের ম্যাচে রেকর্ড। এর মধ্যে ৭ জনই মরিনিওর দল রোমার, যা এই প্রতিযোগিতারও ফাইনালে রেকর্ড।

মরিনিও নিজেও বারবার কোচের সীমানা দাগ পেরিয়ে যাওয়ায় হলুদ কার্ড দেখেছেন। খেলোয়াড়দের মধ্যে হুটহাট ঝামেলা বেধে যাওয়ার ছোট ছোট ঘটনা তো ছিলই। অতিরিক্ত সময় শেষ হওয়ার আগপর্যন্ত ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে ২৫ মিনিটের বেশি।

ইতালিয়ান সিরি ‘আ’-তে আরও এক ম্যাচ খেলবে এএস রোমা। শীর্ষ চারে থেকে মৌসুম শেষ করতে পারবে না ক্লাবটি। ইউরোপা লিগের ফাইনালে হেরে যাওয়ায় চ্যাম্পিয়নস লিগের আগামী মৌসুমে খেলা হবে না রোমার। তাই প্রশ্ন উঠেছে, ৬০ বছর বয়সী মরিনিও রোমার দায়িত্বে থাকবেন তো?

ক্লাবটির সঙ্গে ২০২৪ সালে মরিনিওর চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। ভবিষ্যতের প্রশ্নে মরিনিও বলেছেন, ‘আমার ভবিষ্যৎ? কয়েক মাস আগেও বলেছিলাম অন্য কোনো ক্লাব যোগাযোগ করলে সেটা মালিককেই আগে বলতাম। আমি কোনো কিছু গোপন করি না। গত ডিসেম্বরে পর্তুগাল থেকে যখন প্রস্তাব এসেছিল, তখনই ক্লাবকে জানিয়েছিলাম। এর পর থেকে কারও সঙ্গে কথা হয়নি।’

এইচজেএস