ছবি-সংগৃহীত

জাতীয় দলের সাবেক তারকা ফুটবলার গোলরক্ষক মোঃ মহসিন গুরুতর অসুস্থ। শারীরিক দুর্বলতার পাশাপাশি মানসিকভাবেও বেশ নাজুক অবস্থায় এই গোলরক্ষক। মহসিনের এই দুরবস্থায় পাশে দাঁড়াচ্ছেন তার সতীর্থরা।

সাবেক ফুটবলারদের সংগঠন সোনালী অতীত ক্লাবের সভাপতি হাসানুজ্জামান খান বাবলু মহসিনের এই দুরবস্থায় নিজেদের এগিয়ে আসার উদ্যোগ সম্পর্কে বলেন,‘আমরা আগামীকাল সন্ধ্যার পর মোহামেডান ক্লাবে বসবো। কিভাবে মহসিনকে সহায়তা করা যায় সেটা নিয়েই আলোচনা করব’। 

মহসিন দেশের দুই জনপ্রিয় ক্লাব আবাহনী ও মোহামেডানে অধিনায়কত্ব করলেও শুরুটা করেছিলেন সাদা-কালোদের হয়ে। সেই মোহামেডান ক্লাবেই আগামীকাল মহসিনকে নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। সাম্প্রতিক সময়ে ক্রীড়াঙ্গনে সবার সুখ-দুঃখে দৌড়ে যান আব্দুল গাফফার। মহসিনের ব্যাপারেও তিনি এগিয়ে আসছেন, ‘মহসিন বাংলাদেশের ফুটবলের অন্যতম তারকা। দেশের প্রতি তার অসংখ্য অবদান। আমরা সাবেক কয়েকজন খেলোয়াড় মিলে তার সুস্থতার বিষয়ে কাজ করব’। মহসিনের তারকা খ্যাতি এতটাই যে ক্রীড়াঙ্গনের বাইরেও অনেকে তাকে সহায়তা করতে চাইছেন। এই সকল বিষয় নিয়ে আগামীকাল আলোচনা করবেন বাবলু, গাফফার, প্রিন্স, সাব্বির,জনি ও জোসিসহ আরো অনেকে।

১৯৮২ সালে ঢাকা মোহামেডানের হয়ে মহসিনের যাত্রা শুরু। ১৯৮৫ সালে মোহামেডানের অধিনায়কও ছিলেন। সাদা-কালো জার্সিতে অর্ধ যুগের বেশি সময় থাকার পর ঢাকা আবাহনীতে যান। সেখানেও কৃত্তিত্বের সঙ্গে অর্ধযুগ খেলেন। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রেও খেলেন। দেশের তিন শীর্ষ ক্লাবেই অধিনায়কত্ব করেছেন। 

জাতীয় ফুটবল দলে দাপটের সঙ্গে খেলেছেন এক দশক। ১৯৮২ থেকে ৯২ পরবর্তী সময় পর্যন্ত জাতীয় দলে গোলপোস্টের নিচে তিনি ছিলেন এক নম্বর গোলরক্ষক। আন্তর্জাতিক ম্যাচেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স রয়েছে মহসীনের। ক্রীড়াঙ্গনে অনবদ্য অবদানের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারও পেয়েছেন এই কৃতি ফুটবলার।

খেলা ছাড়ার পর প্রবাস জীবন বেছে নেন এই সাবেক তারকা ফুটবলার। কানাডায় দুই দশক থেকে ২০১৪ সালের পর দেশে ফিরে আসেন। স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর থেকে শারীরিক ও মানসিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে ধীরে ধীরে। গত কয়েক মাস ধরে অবস্থা খুবই নাজুক। তার ছোট ভাই সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে সেবা-শ্রশুষা করছেন। 

মহসিন তারকা ফুটবলার হলেও ব্যক্তি জীবনে অনিয়ন্ত্রিত ছিলেন। জীবনযাপনে নানা অনিয়মের ফলে শরীর ক্রমান্বয়ে খারাপ করেছে।  

এজেড/