পুরুষ সাফে বাংলাদেশ একবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২০০৩ সালের পর বাংলাদেশ আর দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হতে পারেনি। গত বছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন সাবিনা খাতুনরা।

একদিকে নারী ফুটবলে সফলতা, অন্যদিকে ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খান জামালরা। তাদের এই বৃত্ত গত কয়েক বছর ধরেই চলছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বাফুফের নানা নেতিবাচক শিরোনামে থাকা। গত মার্চ মাস থেকে মিয়ানমারে অলিম্পিক বাছাইয়ে নারী দল না পাঠিয়ে বাফুফে ধারাবাহিকভাবে সমালোচনার কেন্দ্রে।
 
নারীদের ধারাবাহিক সাফল্য এবং নানা সমালোচনায় জর্জরিত ফেডারেশন জামালদের জন্য চাপ তৈরি করে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় দলের অধিনায়ক বলেন, ‘চাপ তো মিডিয়ার’।

এরপর অবশ্য বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে জামাল বলেন, ‘মিডিয়া এবং সমর্থকরা আরও অনেকে অনেক বিষয় আলোচনা ও সমালোচনা করবে। আমরা ফুটবলাররা সেদিকে মনোযোগ দেই না। আমরা নিজেদের খেলাতেই মনোযোগ রাখি।’

২০১৩ সাল থেকে জামাল ভূঁইয়া জাতীয় দলে খেলছেন। এরপর সাফ ফুটবলে এখনও গ্রুপের গণ্ডি পার হতে পারেনি বাংলাদেশ। জামাল বাংলাদেশের অনেক বড় তারকা, কিন্তু এখনো দেশকে সাফের শ্রেষ্টত্বের মঞ্চে নিতে পারেননি। এই বিষয়ে তার মন্তব্য, ‘আমি নয় শুধু সবাই চায় বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করতে।’ 

সাফের মঞ্চে বাংলাদেশ সফল না হওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গত বছর আমরা শেষ মুহূর্তে বাদ পড়েছি। কিছু দিন আগে সহ-সভাপতি (কাজী নাবিল) বলেছেন শেষ মুহূর্তে স্টুপিড গোল হজমে আমরা হারছি। এটা সত্যি।’

মালদ্বীপ সাফের সঙ্গে আসন্ন বেঙ্গালুরু সাফে দলের শক্তিমত্তা বিশ্লেষণ করতে বললে অধিনায়ক বলেন, ‘এই দলে আমি ও সোহেল সবচেয়ে অভিজ্ঞ। গত সাফ এবং এই সাফের দল সমানই।’

এজেড/এএইচএস