ছবি: সংগৃহীত

লাউতারো মার্টিনেজ ও জুলিয়ান আলভারেজ। মাস কয়েক আগেই কাতারে বিশ্বকাপ শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছেন তারা। এবার ইউরোপ সেরা হওয়ার হাতছানি তাদের সামনে। তবে বিশ্বকাপের মতো এবার আলভারেজ কিংবা মার্টিনেজের একসঙ্গে শিরোপা জয়ের সুযোগ নেই। তবে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের স্বস্তি এটাই, তাদের যেকোনো একজনের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় নিশ্চিত। একই মৌসুমে বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী দশম ফুটবলার হওয়ার কীর্তি গড়তে চলেছেন এই দুইজনের কোনো একজন। আজ ইস্তাম্বুলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবেন তারা।   

সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা তৃতীয় বারের মতো সোনালী ট্রফি পেলেও, ব্যক্তিগত ফর্মের কারণে সমালোচনার শিকার হন লাউতারো মার্টিনেজ। গোলে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে তিনি আলবিসেলেস্তা সমর্থকদের রোষের কারণ হয়ে ওঠেন। তবে ক্লাব ফুটবলে মার্টিনেজ জাতীয় দলের বিপরীত। তার দুর্দান্ত প্রতিভায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছে ইন্টার মিলান।

গত ১৬ মে রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনাল ফিরতি লেগে এসি মিলানকে ১-০ গোলে হারায় ইন্টার মিলান। যেখানে একমাত্র গোলটি করেন বিশ্বজয়ী আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মার্টিনেজ। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ গোলের অগ্রগামিতায় ১৩ বছর পর ইন্টার ফাইনালে উঠেছে তারা। 

অন্যদিকে, বিকল্প স্ট্রাইকার হিসেবে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ দলে ছিলেন জুলিয়ান আলভারেজ। শেষ পর্যন্ত ওই আলভারেজ আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক বনে গেছেন। বিশ্বকাপের পর ক্লাবের হয়েও নিয়মিত গোলস্কোরার আলভারেজ। রিয়াল মাদ্রিদকে বিধ্বস্ত করে স্বপ্নের ফাইনাল নিশ্চিত করার পথে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ম্যাচের চতুর্থ গোলটি করেন আর্জেন্টাইন এ তারকা।  

এখন পর্যন্ত ৯ জন ফুটবলার একই মৌসুমে বিশ্বকাপ ও ইউরোপসেরা হওয়ার গৌরব গায়ে মেখেছেন। দশম ফুটবলার হিসেবে এমন কীর্তিতে নিজের নাম তুলতে পারেন তাদের যে কোনো একজন। এছাড়া একসঙ্গে একই মৌসুমে বিশ্বকাপ ও ইউরোপসেরা হওয়ার কীর্তি গড়েছেন ৬ ফুটবলার। ১৯৭৪ বিশ্বকাপ জেতার পর এই ছয় ফুটবলার বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে জিতেছিলেন ইউরোপিয়ান কাপ। তারা হলেন সেপ মেয়ার, পল ব্রাইটনার, হানস-গিয়োর্গ শোয়ারজেনবেক, ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, জার্ড মুলার ও উলি হোয়েনেস। পরের তিনজন হলেন ক্রিস্টিয়ান কারেম্বু (ফ্রান্স ও রিয়াল মাদ্রিদ, ১৯৯৮), রবার্তো কার্লোস (ব্রাজিল ও রিয়াল মাদ্রিদ, ২০০২), রাফায়েল ভারানে (ফ্রান্স ও রিয়াল মাদ্রিদ, ২০১৮)।

এইচজেএস