ইস্তাম্বুলের ফাইনালে যেমন ঝাঁজ দেখার কথা, অন্তত প্রথমার্ধে তেমন কিছুর দেখা মেলেনি। একের পর এক আক্রমণ শানালেও ইন্টার মিলানের জাল ভেদ করতে পারেনি হলান্ডরা। অন্যদিকে, লাওতারো মার্টিনেজরাও তেমন জোরালো সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি।

তবে গোলশূন্য প্রথমার্ধে সিটির অস্বস্তি বাড়িয়েছে ডি ব্রুইনার চোট। ম্যাচের ৩০ মিনিটে মাঠে পড়ে যান কেভিন ডি ব্রুইনা। সে সময় শুশ্রূষা নিয়ে ফের মাঠে ফিরলেও অস্বস্তি ছিল চোখে-মুখে। ৩৫ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় ম্যানসিটি। অস্বস্তিতে ভোগা ডি ব্রুইনাকে মাঠ থেকে তুলে নেন গার্দিওলা। নামেন ফিল ফোডেন। অবাক করা তথ্য হচ্ছে, ২০২০-২১ মৌসুমের ফাইনালে চেলসির বিপক্ষেও ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন এই বেলজিয়ান প্লেমেকার।

হাই-ভোল্টেজ ফাইনালে দুই দলই শুরুটা করে দেখেশুনে। সময় যত গড়িয়েছে আক্রমণের ধার বাড়িয়েছে ম্যান সিটি। তবে মিলান গোলরক্ষককে খুব বেশি পরীক্ষার ফেলতে পারেনি হলান্ড-গুনদোয়ানরা।

প্রথমার্ধে বল দখলে সিটি পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও মাত্র দুটি শট লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে সিটি। অন্যদিকে ডিফেন্সিভ খেলা ইন্টার মিলানেরও মাত্র একটি শট লক্ষ্যে ছিল।

ম্যাচের মাত্র ৫ম মিনিটেই দারুণ সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন বার্নার্দো সিলভা। ডি বক্সে ঢুকে শট নিয়েছিলেন, কিন্তু টার্গেট মিস করে গেছেন। এরপর পাল্টা আক্রমণে উলটো বিপদেই পড়তে যাচ্ছিল সিটি। ২৫ মিনিটে বারেল্লার দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য জাল ছোঁয়নি। তৈরি ছিলেন না সিটির গোলরক্ষক এডারসনও।

এরপর টানা কয়েকটি আক্রমণ চালিয়েও গোল পেতে ব্যর্থ হয় সিটিজেনরা। ইন্টার মিলানের জমাট রক্ষণ কিছুতেই ভাঙতে পারেনি হলান্ড-গ্রিলিশরা। প্রথমার্ধে সিটির জন্য বড় ধাক্কা কেভিন ডি ব্রুইনার চোট।

এফআই/এমজেইউ