বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন গত পরশু জরুরি সভা করে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে চার কোটি টাকা চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাতীয় বাজেটের পর বাফুফের এই সিদ্ধান্তে ক্রীড়াঙ্গনে চলছে সমালোচনা। খোদ যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলও বিষয়টি ভালোভাবে নেননি। 

আজ (সোমবার) বিকেলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে নির্বাহী কমিটির সভা শেষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘বাফুফের পরিকল্পনার অভাব। তারা এটি যদি এক মাস আগে চাইত আমাদের জন্য সুবিধাজনক হতো। তখন আমরা এটি মন্ত্রণালয়ের বাজেটের অংশ হিসেবে ঢুকিয়ে দিতে পারতাম। অন্য অনেক ফেডারেশনই বাজেটের আগে আগামী বছরের চাহিদা দিয়ে থাকে। বাফুফে সেটি দিল বাজেট অধিবেশনের সময়। 

বাফুফে এখনো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কিংবা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে ৪ কোটি টাকা চেয়ে চিঠি দেয়নি। চিঠি পেলে গুরুত্ব বিবেচনা করে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করবে, আমাদের খাত ভিত্তিক বরাদ্দ হয়। এরপরও চেষ্টা করব যেটা খুবই জরুরি সেখানে কিছু দেওয়ার।’ 

চলতি বছরে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য ৭ কোটি টাকা প্রয়োজন। এর মধ্যে ফিফা-এএফসি থেকে পাবে ৩ কোটি টাকা। বাকি ৪ কোটি টাকা সরকারের কাছে চাইবে ফেডারেশন। আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সরকার সব অর্থ সংস্থান করলে বাফুফে নির্বাহী কমিটির দায়িত্ব কি? এই প্রশ্নের উত্তরে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সর্বোচ্চ অভিভাবক বলেন, ‘তাদের আরো একটু আন্তরিকতার দরকার ছিল। স্পন্সর খুঁজে এরপর আমাদের কাছে চাইতে পারত। যদিও এর আগে তারা আমাদের কাছে এভাবে কখনো চায়নি।’

২০১৯ সালে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার দ্বিতীয় অর্থ বছরেই বাফুফেকে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন। সেই ২০ কোটি টাকার মধ্যে ১০ কোটি টাকা স্থায়ী আমানত হিসেবে রাখার কথা। সেই স্থায়ী আমানত নিয়ে ফুটবলাঙ্গনে রয়েছে ধোঁয়াশা। মন্ত্রী এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিশ কোটি টাকা অর্থ মন্ত্রণালয় বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছিল একটি নির্দেশনা দিয়ে। সেই নির্দেশনা অনুসরণ করছে কিনা আমরা খতিয়ে দেখতে পারি।’ 

এর পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, ‘তারা শুধু আমাদের কাছে চান। ফিফা-এএফসি থেকে কত পান। কি করেন সেটা কিন্তু আমাদের জানান না। আমাদেরও একটু জানানো উচিত।'

এজেড/এফআই