২০২২ বিশ্বকাপের স্বাগতিক হিসেবে কাতার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এই বিষয় নিয়ে নানা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। স্বাগতিক নির্বাচনে দুর্নীতি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন অনেকে। তবে সব ছাপিয়ে কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে এখন মূল আলোচনা দেশটিতে স্টেডিয়াম বানাতে গিয়ে শ্রমিকদের মৃত্যু। 

বিশ্বকাপের জন্য নতুন করে ১২টি স্টেডিয়াম বানাচ্ছে কাতার। এই সব স্টেডিয়াম বানাতে গিয়ে মারা যাচ্ছেন দক্ষিণ এশিয়ার হাজার হাজার শ্রমিক। ইতোমধ্যেই এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশের ফুটবল দল। নরওয়ে, নেদারল্যান্ডস ও নরওয়ের মতো দেশগুলো ‘মানবতা বিরোধী’ এমন কাজের প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

এবার তাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারে ইংল্যান্ড জাতীয় দলও। এমনটিই জানিয়েছেন দলটির অধিনায়ক হ্যারি কেইন। ইতোমধ্যেই দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গেও এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। 

তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন দলগুলো কয়েকদিন আগে প্রতিবাদ শুরু করেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে এটা ভালো আলাপ হতে পারে খেলোয়াড়দের মধ্যে। আমি নিশ্চিত এতে কিছু ফল পাওয়া যাবে। কিন্তু এটার বিপক্ষে আমি কিছু দেখি না।’

খেলোয়ড়দের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে সবার সঙ্গে এটা নিয়ে আলোচনা করে সবার দৃষ্টিভঙ্গি জানাটা গুরুত্বপূর্ণ। একটা রুমে সবাই বসেছি, তারা এটা নিয়ে কী ভাবে এবং কী করতে চায় বলেছে। আর এরপর আমরা দল হিসেবে সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’

বিশ্বকাপের আয়োজন স্বত্ব পাওয়ার পর ২০১০ সালের ডিসেম্বরের যে রাতে কাতারের রাস্তায় লোকজনকে আনন্দ-উল্লাস করতে দেখা যায়; সেই রাতের পর থেকে কাতারে প্রতি সপ্তাহে গড়ে দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচ দেশের অন্তত ১২ জন করে প্রবাসী শ্রমিকের প্রাণ গেছে বলে গার্ডিয়ানের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে। কাতারে দশ বছরে প্রাণ গেছে ১০১৮ বাংলাদেশিরও।

এমএইচ