প্রথমার্ধে ১-১ গোলে সমতার পর দ্বিতীয়ার্ধের ৬৭ তম মিনিটে লিড নেয় বাংলাদেশ। কর্নার থেকে তপু হেড করেন। জটলার মধ্যে বল পান তারিক কাজী। বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সোজা জালে বল পাঠান তারিক কাজী। 

তারিক কাজীর ভুলে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লেবাননের বিপক্ষে গোল হজম করেছিল বাংলাদেশ। আজ নিজে গোল করে সেই দায় শোধ করলেন অনেকটা। এই মুহূর্তে ২-১ গোলে এগিয়ে বাংলাদেশ।

এর আগে দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের কোচ তিনটি পরিবর্তন করে। ইব্রাহিম, মোরসালিন নামার পর বাংলাদেশের আক্রমণ আরো বৃদ্ধি পায়।

লেবাননের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের ভুলে হারের পর মালদ্বীপের সঙ্গে ব্যাঙ্গালোরের শ্রী কান্তেরাভা স্টেডিয়ামে আজ কার্যত বাঁচা-মরার ম্যাচে বল পজেশন, আক্রমণ সব কিছুতেই এগিয়ে বাংলাদেশ।  

এর আগে খেলা শুরুর প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যেই তিনটি কর্নার আদায় করে নেন জামালরা। তবে গোল আদায় করতে পারেনি হাভিয়ের ক্যাবরেরা শিষ্যরা। উল্টো ম্যাচের ১৮ মিনিটে লিড নেয় মালদ্বীপ। বক্সের বাইরে থেকে একটা জোরালো শট নেন মালদ্বীপের ফরোয়ার্ড হামজা মোহাম্মদ। ডিফেন্ডারদের এবং গোলরক্ষক জিকোকে পরাস্ত করে সেই বল জালে প্রবেশ করে। 

গোল হজমের পর কিছুটা বাংলাদেশকে কিছুটা এলোমেলো মনে হলেও আবারও ম্যাচের লাগাম নিজেদের হাতে নেন জামালরা। বিশেষ করে ৩৫ মিনিটে কর্নার থেকে গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিল বাংলাদেশ। সোহেল রানার কর্নারে বক্সের মধ্যে তপু বর্মণ লাফিয়ে হেড করেন। তপুর হেড মালদ্বীপের ডিফেন্ডার গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন। সেই ক্লিয়ারের সময় বলটি তাদের আরেক সতীর্থের হাতে লাগার পর গোলরক্ষক গ্রিপে নেন। বাংলাদেশের ফুটবলাররা পেনাল্টির আবেদন করেছিলেন কিছুক্ষণ। 

রেফারি সেই আবেদন গ্রাহ্য না করলেও এর মিনিট পাঁচেক পরেই ম্যাচে সমতা আনে বাংলাদেশ। বেশ কয়েকটি লম্বা থ্রো করেছিলেন ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ। ৪২ মিনিটে লম্বার পরিবর্তে সংক্ষিপ্ত থ্রো নেন। সেই থ্রো থেকে সোহেল রানা বক্সে তপুর উদ্দেশে ক্রস দেন। তপু হেডে ফাঁকায় দাঁড়ানো রাকিবের উদ্দেশে বল বাড়ান। রাকিব হেডে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি।

এজেড/এফআই