ঈদের আগে সম্মানী পেলেন না রেফারিরা
আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আজহা। অথচ ঈদের আগে নিজেদের প্রাপ্য সম্মানীটাই পেলেন না রেফারিরা। বিশেষ ব্যবস্থায় ২৫ লাখ টাকা ছাড়করণ করলেও শেষ পর্যন্ত ঈদের আগে সেটা পাননি তারা।
রেফারিরা সর্বশেষ বিল পেয়েছিলেন রোজার ঈদের পর। এবার ঈদের আগেই রেফারিদের আশিংক অর্থ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি ও রেফারিজ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী। ব্যক্তিগতভাবে তিনি ২৫ লাখ টাকার সংস্থান করেছিলেন ফেডারেশনে।
বিজ্ঞাপন
বাফুফে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার রেফারিদের ঈদের আগে সম্মানী না পাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘ঈদের আগেই আমরা রেফারিদের সম্মানী দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। বিগত সময়গুলোতে চেক স্বাক্ষরের পর রেফারিরা চেক গ্রহণ করে নিজ নিজ ব্যাংকে জমা দিতেন। এবার আমরা রেফারিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস চেয়েছিলাম। তাদের বেতনের মতো অর্থ ব্যাংকে সরাসরি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। অনেকে ব্যাংক হিসাবের নামের জায়গায় নিজের প্রচলিত নাম দিয়েছেন আবার অনেকে ব্যাংকের রাউটার নম্বর দেননি। এজন্য সেভাবে দেওয়া যায়নি।’
নতুন প্রক্রিয়া সফল না হওয়ায় পরবর্তীতে আগের মতোই চেক ইস্যু হয়েছে রেফারিদের নামে। ততক্ষণে অবশ্য ঈদের আগে কর্মদিবস শেষ হয়েছে। তাই ১ জুলাই রেফারিদের ফেডারেশন থেকে চেক সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। ঈদের আগে সম্মানী না পাওয়ায় অনেক রেফারির মধ্যেই কিছুটা ক্ষোভ জন্মেছে।
বিজ্ঞাপন
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হয়ে একাধিক রেফারি বলেন, ‘আমরা খুব স্বল্প সম্মানী পাই। ঈদের আগে অনেক খরচ থাকে। তখন যদি এই অর্থ না পাই, তাহলে এরপর তা পেলে তো আর সেই প্রয়োজন মিটে না’।
ঘরোয়া ফুটবলে রেফারি বিল বকেয়া চিরাচরিত ইস্যুই। বর্তমান মৌসুম প্রায় শেষের পথে অথচ রেফারিরা বিল গ্রহণ করছেন গত মৌসুমের মাঝ অংশের। এই ২৫ লাখ টাকার পরও প্রায় অর্ধকোটি টাকা বিল বাকি থাকবে গত মৌসুমের। আর চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার, চ্যাম্পিয়নশিপ, ফেডারেশন কাপ, স্বাধীনতা কাপ মিলিয়ে আরও এক কোটি টাকার মতো বিল বকেয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে রেফারিদের ফেডারেশনের কাছে পাওনা প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা।
দেশীয় রেফারিদের কোটি টাকার ওপর বকেয়া থাকে। অথচ বিদেশি রেফারি কনসালটেন্ট গৌতম করকে মাসিক ভিত্তিতে কয়েক লাখ টাকা বেতন দেওয়ায় ফেডারেশনের কোনো বকেয়া নেই। প্রায় মাস পাঁচেক তিনি বাফুফেতে রেফারি কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। তার পরামর্শেই বাফুফে সম্মানী প্রদানে ডিজিটালাইজেশন করতে গিয়ে ঈদের আগে এই বিড়ম্বনার শিকার অর্ধশতাধিক রেফারি।
এজেড/এফকে