নেপালে কাজী সালাউদ্দিন/ঢাকা পোস্ট

কাঠমান্ডু সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ট্রফির লড়াইয়ে নামবেন জামাল ভূঁইয়ারা। এর চার ঘন্টা আগে ঢাকার উদ্দেশ্যে কাঠমান্ডু ছাড়ছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। ২২ মার্চ কাঠমান্ডু এসেছিলেন জাতীয় দলের ম্যাচ দেখতে। ২৩ ও ২৭ মার্চ কিরগিজস্তান ও নেপালের বিপক্ষে দুই ম্যাচ দেখেছেন। 

আগে থেকেই ফিরতি ফ্লাইট ছিল ২৯ মার্চ। ইচ্ছে থাকা সত্বেও ফাইনাল না দেখেই দেশে ফিরে যাচ্ছেন বাফুফে সভাপতি, ‘আমি সাধারণত দেশের বাইরে এত দিন থাকি না। এক-দুই দিনের মধ্যেই দেশে ফিরে আসি। এবার অনেক দিন থাকলাম। এত দিন থাকলাম আজ ফাইনালটাও দেখে যেতে পারতাম যদি আগামীকাল বা পরশু ফ্লাইট থাকতো। ঢাকাতে অনেক কাজ আছে। তাই আর পারলাম না।’ 

করোনার কারণে সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার এই দুই দিন ঢাকা-কাঠমান্ডু বিমান যাতায়াত করছে। আজ ঢাকা না গেলে ১ এপ্রিল বৃহস্পতিবারের আগে দেশে ফেরার আর সুযোগ নেই। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই আজ ফাইনাল না দেখেই দেশে ফিরে যাচ্ছেন সালাউদ্দিন।

সালাউদ্দিনের সঙ্গে ২২ মার্চ এসেছিলেন বাফুফে দুই জন নির্বাহী সদস্য  (মাহফুজা আক্তার কিরণ, নুরুল ইসলাম নুরু) ও সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ। ২৫ মার্চ বাফুফে সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক কাঠমান্ডু পৌছান। তারা সবাই আজ একই ফ্লাইটে দেশে ফিরে যাচ্ছেন। 

বাংলাদেশ দল ১৮ মার্চ কাঠমান্ডু এসেছে। দলের ফিরতি ফ্লাইট ১ এপ্রিল। বাফুফের পরিকল্পনা ছিল ৩০ বা ৩১ মার্চ চাটার্ড বিমান করে দল নিয়েই শীর্ষ কর্মকর্তাদের ফেরার। করোনা পরিস্থিতির জন্য চাটার্ড বিমান পেতে আনুষ্ঠানিকতা বেড়েছে অনেক। চাটার্ড না হওয়ায় কর্মকর্তারা আগেই ফিরে গেলেন। কাঠমান্ডু ছাড়ার আগে সালাহউদ্দিন জাতীয় দলের ফুটবলারদের মুঠোফোনে ফাইনালের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়ে গেছেন।

দলের সঙ্গে পর্যবেক্ষক হিসেবে রয়েছেন নির্বাহী সদস্য ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ ও ম্যানেজার ইকবাল হোসেন। বাফুফে কর্তারা চাটার্ড ফ্লাইটে না যেতে পারলেও জামালদের সেই সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে ৩১ মার্চ বিশেষ বিমানে ফুটবলারদের দেশে ফেরানোর চেষ্টা করবে বাফুফে। 

এজেড/এনইউ/এটি