২০২২ সালটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে লাতিন আমেরিকার পরাশক্তি আর্জেন্টিনার। তিন যুগের অপেক্ষার পর গেল বছরের শেষ দিকে এসে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফির আক্ষেপ ঘুচেছে আলবিসেলেস্তেদের। নিজের সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নেমে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে শিরোপা জিতিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। 

২০১৪ বিশ্বকাপে ট্রফিটার খুব কাছাকাছি গিয়েও মেসিকে ফিরতে হয়েছিল খালি হাতে। তবে ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় এসে ঈশ্বর হতাশ করেননি ফুটবল জাদুকরকে। কাতার বিশ্বকাপে নিজে যেমন দুরন্ত ছন্দে থেকেছেন, দলকেও নিয়ে গেছেন সাফল্যের শিখড়ে। হাত উঁচিয়ে বিশ্বকে দেখিয়েছেন প্রাপ্তির খাতায় বাকি নেই আর কিছুই। 

লুসাইলের সেই শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শিরোপা জেতার পরেই মেসি জানিয়েছিলেন, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হিসেবে আরও কিছুদিন খেলা চালিয়ে যেতে চান তিনি।  

যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লিগের ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। সব ঠিক থাকলে আগামী রোববার নিজেদের ফুটবলার হিসেবে মেসিকে সমর্থকদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেবে ইন্টার মায়ামি কর্তৃপক্ষ। সেখানেই গণমাধ্যমকে মেসি জানিয়েছেন, গত ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ না জিতলে অবসর নিয়ে নিতেন তিনি। 

মেসি বলেন, ‘বিশ্বকাপের প্রতিটি মুহূর্ত আমি দারুণ উপভোগ করেছি। আমি এটা এমনভাবে উপভোগ করেছি যেমনটা আগে কখনো করিনি। আমি জানতাম এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ হতে পারে। সত্যি কথা বলতে, আমরা যদি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন না হতাম, জাতীয় দলে হয়তো আর থাকতাম না। কিন্তু এখন, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কারণে আমি জাতীয় দল ছাড়তে পারব না। আমি আরও উপভোগ করতে চাই। 

তবে অবসর ইস্যুতে মেসি জানিয়েছেন, এখনও জানি না কবে (অবসর নিবো)। আমার মনে হয়, যখন সময় আসবে তখনই। সবকিছু জয়ের পর এখন আমি ফুটবল উপভোগ করতে চাই। অবসরের সেরা সময় কখন সেটা ঈশ্বর সিদ্ধান্ত নেবেন। 

বয়সের ব্যাপারটাও মাথা রেখেছেন এই তারকা। বলেছেন, ‘আমার বয়সের কারণে যৌক্তিকভাবেই এটা খুব বেশি দেরি নেই। কবে অবসর নেব সুনির্দিষ্ট করে জানি না। অবসরের পরে হয়তো আমার এই অর্জনের গুরুত্ব বেশি বুঝতে পারবো।’

এফআই