গত সেপ্টেম্বরে নেপালের কাঠমান্ডুতে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। দশ মাস পর সেই নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে ট্রফি খোয়ালো। দুই ম্যাচের প্রীতি সিরিজে দুই ম্যাচই ড্র হয়েছে। দুই দলের সম্মতিতে ট্রফি নিষ্পত্তির জন্য টাইব্রেকার সিরিজ জয়-পরাজয় নির্ধারণ হয়েছে। 

টাইব্রেকারে পাঁচ শটের মধ্যে নেপাল চারটি গোল করেছে। বাংলাদেশ করেছে মাত্র দু'টি। ফলে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতে ট্রফির দখল নিলো নেপাল। সফরকারী দলটির ট্রফি জয়ের নায়ক গোলরক্ষক রানা মাগার। তিনি নির্ধারিত সময়ের ইনজুরি সময়ে মাঠে নেমেছিলেন।

টাইব্রেকারে নেপাল প্রথম শট নেয়। সাবিত্রা ভান্ডারী প্রথম শটেই গোল করেন। বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপ্না চাকমা ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি। বাংলাদেশের শামসুন্নাহারের প্রথম শটও গোল হয়। গোলরক্ষক রানা মাগার বলের দিকে ঝাঁপিয়েও ধরতে পারেননি। 

এরপর নেপালের হীরা কুমারী গোল করেন। অন্যদিকে, শিউলি আজিমের শট রানা মাগার রুখে দেন। এবার গোলরক্ষক রানা মাগার নিজেই শট নেন। সাইড পোস্টে লেগে বল বাইরে চলে যায়। মারিয়া মান্ডার শট রানা মাগার সেভ করেন। নেপালের দীপা ও বাংলাদেশের মনিকা গোল করেন। নেপাল পঞ্চম শটে গোল করলে বাংলাদেশ হেরে যায়। 

আজকের ম্যাচে বাংলাদেশ গত ম্যাচের একাদশ নিয়েই নেমেছিল। সফরকারী নেপাল ম্যাচের প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল বেশি। তাদের ফরোয়ার্ড সাবিত্রা ভান্ডারী বেশ কয়েকটি আক্রমণ রচনা করেছিলেন। পক্ষান্তরে বাংলাদেশও গোলের সুযোগ পেয়েছিল৷ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বাংলাদেশ তিন জন খেলোয়াড় পরিবর্তন করে৷ রিতু পর্ণা চাকমা, সুমাইয়া, রিপাকে নামান কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু। খেলোয়াড় পরিবর্তন করেও ম্যাচের ফলাফল বদলাতে পারেনি বাংলাদেশ। 

গত ম্যাচে বাংলাদেশ ইনজুরি সময়ে গোল হজম করে ম্যাচ ড্র করেছিল। আজ ইনজুরি সময়ে গোলের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ গোল করতে পারেনি।

এজেড/এফআই