ফর্মের চূড়ায় থেকে জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখে পাড়ি জমিয়েছিলেন সেনেগালের সুপারস্টার সাদিও মানে। কিন্তু ৩১ বছরের এই খেলোয়াড়ের জার্মানি পর্বটা খুব একটা ভাল কাটেনি। মাত্র এক বছরের মধ্যেই পাড়ি জমিয়েছেন সৌদি আরবের ক্লাব আল-নাসরে। কিন্তু, সেনেগালিজ এই খেলোয়াড়ের এজেন্টের দাবি, মানে ক্লাব ছাড়তে চাননি। বরং বায়ার্ন মিউনিখই তার সাথে অন্যায় আচরণ করেছে।।

শুধু তাইই নয়, বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে রীতিমত বর্ণবাদী অভিযোগ এনেছেন মানের এজেন্ট বাকারি সিজে। এই এজেন্টের দাবি, মানে অর্থের মোহে সৌদি আরবে যাননি। বায়ার্ন মিউনিখই তাকে বের করে দিতে চেয়েছে।

‘আফটার ফুট আরএমসি’তে অংশ নিয়ে জার্মান ক্লাবটির বিপক্ষে একের পর এক অভিযোগ করেছেন তিনি, ‘(বায়ার্ন) ফুটবলীয় কারণে বিক্রি করেনি। মানে যে বেতন পেত, সেটা মানতে পারছিল না জার্মানরা। ওরা বুঝতে পারছিল না, একজন আফ্রিকান কীভাবে এই দলে এল, আর সবার চেয়ে বেশি বেতন পাচ্ছে। যে কারণে ওরা মানেকে ত্যাগ করতে চাইছিল।’

সিজের দাবি, অকৃতজ্ঞের আচরণ করেছে জার্মান ক্লাবটি, ‘তারা কখনোই সাদিওকে সামনাসামনি ডেকে বলেনি যে তোমাকে আমরা আর চাই না। তারা শুধু টুখেলকে পাঠিয়েছে। টুখেল বলেছেন, “তোমার উইংয়ে তৃতীয় পছন্দ হয়ে থাকতে হবে।” সাদিওর জার্মানদের কাছে প্রমাণের কিছু নেই। সে আজ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, সেটা তো বায়ার্নের কারণে নয়, লিভারপুলের কারণে। বায়ার্ন কৃতজ্ঞ ছিল না। একজন আফ্রিকানকে সব টাকা দিয়ে দিতে হচ্ছে, এটা ওদের পোড়াত।’

অবশ্য এসব অভিযোগের পরেও সাদিও মানেকে নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই পারে বায়ার্ন মিউনিখ। রবার্ট লেভানডস্কির বদলে গোলস্কোরার হিসেবেই তাকে দলে চেয়েছিল জার্মান জায়ান্টরা। কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ ছিলেন মানে। ৩১ ম্যাচে করেছেন মোটে ১২ গোল। সেইসঙ্গে সতীর্থ লেরয় সানের সাথে ঝামেলাও ছিল বড় ইস্যু। 

জেএ