ফাইল ছবি

জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু গত দুই মৌসুম শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কোচের দায়িত্বে পালন করেছেন। নতুন মৌসুমে তার পরিবর্তে ক্লাবটি একজন বিদেশি কোচ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে মিন্টুর শেখ রাসেল অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটার পথে। 

শেখ রাসেল ক্লাবের পরিচালক (অর্থ) ফখরুদ্দিন কোচ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিদেশি কোচ নেওয়ার। একজন মেসিডোনিয়ান কোচের সঙ্গে আলোচনা অনেকটাই এগিয়েছে। যা চূড়ান্ত হবে আগামী সপ্তাহে।’

বিদেশি কোচ নেওয়ার কারণ হিসেবে এই ক্লাব কর্মকর্তার ব্যাখ্যা, ‘আমাদের এবারের দলটি তারুণ্য নির্ভর। প্রায় সব খেলোয়াড়ই বয়সে ত্রিশের নিচে। তাই এবার কোচিং স্টাফ ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হচ্ছে। প্রো লাইসেন্সধারী কোচকে আমরা নিয়োগ দিতে চাই।’

গত তিন মৌসুমে শেখ রাসেলের প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করেছিলেন দেশীয়রা-ই। দেশের অন্যতম শীর্ষ কোচ সাইফুল বারী টিটু বড় বাজেটের দলই পেয়েছিলেন। এক পর্যায়ে সেই দল রেলিগেশন ফাইটে ছিল। তখন টিটুর সহকারী জুলফিকার মাহমুদ মিন্টুকে ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই মৌসুমে মিন্টু দলকে খাদের কিনারা থেকে তুলে আনেন। এর ফলে পরবর্তী মৌসুমে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান কোচের দায়িত্ব পান। তার অধীনে গত মৌসুমে শেখ রাসেল স্বাধীনতা কাপে রানার্স-আপ ও লিগে পঞ্চম স্থান অর্জন করে। 

গত মৌসুমে মোহামেডানকে ফেডারেশন কাপ জেতানো আলফাজ আহমেদের পূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। অন্যদিকে শেখ জামালের দায়িত্ব পালন করা মারুফুল হকের বিষয়টিও অনিশ্চিত। মারুফ অবশ্য নিজেকে কিছুদিন বিশ্রামে রাখার পরিকল্পনা করেছেন। বিশ্ব ফুটবলের ট্রান্সফারে খেলোয়াড় নেওয়ার ক্ষেত্রে কোচরাই বড় ভূমিকা রাখেন। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে হয় তার উল্টো। ক্লাব কর্তৃপক্ষ দল গঠন করে এরপর নিয়োগ হয় কোচের।

এজেড/এএইচএস