দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল ফেডারেশনের কার্যালয় ঢাকায়। প্রায় তিন বছর সাফের দাপ্তরিক কাজ ঢাকার বনানী অফিসে হলেও আজই প্রথম নির্বাহী সভা এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজকের সভায় চারটি সাব কমিটি ও আগামী বছরের টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন আসলেও সবার আগ্রহ ছিল সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে। বহুল আলোচিত ও কাঙ্খিত সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশীপ নিয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারেনি দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

আগামী বছর জুন-জুলাইয়ে আট দল নিয়ে এক মাসের মধ্যে একটি সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের প্রাথমিক একটি পরিকল্পনা ছিল। আজকের সভায় অবশ্য পরিকল্পনা খানিকটা ভিন্ন হয়েছে। জুন-জুলাইয়ে ভারতের ক্লাবগুলো অংশগ্রহণ করতে সমস্যা। আবার অন্য দিকে সাফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের ইচ্ছে হোম-অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলা। এমন পরিস্থিতিতে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সাজি প্রভাকরণ বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন, 'এএফসি কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যখন খেলা চলে সেই সময় সাফ ক্লাব কাপের ম্যাচ হতে পারে। এতে ঘরোয়া লিগগুলো খুব বেশি ব্যাঘাত হবে না’।

সাজি প্রভাকরণের ভাবনাটি যৌক্তিক মনে হয়েছে সাফের সাধারণ সম্পাদকের কাছে, 'আসলে সাফের জন্য আলাদা ক্লাব প্রতিযোগিতা বের করা খুব কঠিন। ইউরোপের ক্লাবগুলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ/উয়েফা কাপই খেলে আঞ্চলিক কোনো টুর্নামেন্ট নেই। দক্ষিণ এশিয়ার ক্লাবগুলোর জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ বা এএফসি কাপ খেলার পাশাপাশি সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য আলাদা সময় দেয়া কঠিনই হবে। তাই ঐ দুই টুর্নামেন্টের সঙ্গে আগে-পরে মিলিয়ে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে করলে করা যেতে পারে।' 

হোম-অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে টুর্নামেন্ট করলে ব্যয় বাড়বে অনেক। আজকের সভায় সাফের মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান স্পোর্টস ফাইভের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকার কথা ছিল। তিনি ঢাকায় আসলেও আকস্মিকভাবে উচ্চ রক্তচাপ অনুভব করায় মিটিংয়ে আসতে পারেননি। তাই সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশীপ নিয়ে অনেক আলোচনাই বাকি মনে করছেন সাধারণ সম্পাদক, 'দীপক (মার্কেটিং কোম্পানির কর্মকর্তা) এর সঙ্গে আর্থিক সম্ভাব্যতার বিষয়টি আলোচনা রয়েছে। আর্থিক বিশ্লেষণের পর মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সঙ্গে আবার আলোচনা করতে হবে। সব কিছু চূড়ান্ত করতে আরো কয়েকটি সভা প্রয়োজন।’ আগামী মাসের ৭ তারিখ একটি নির্বাহী সভার খসড়া পরিকল্পনা রয়েছে।

সাফ ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ আলোচনার পাশাপাশি আজকের সভায় চারটি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছে। পাশাপাশি আগামী বছর চারটি ইয়ুথ এবং একটি সিনিয়র কম্পিটিশনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০২২ সালে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশীপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া সাবিনারা শ্রেষ্টত্ব বজায় রাখতে আগামী বছর আবার লড়বেন। নারী ও পুরুষ উভয় পর্যায়ে দু’টি করে বয়স ভিত্তিক টুর্নামেন্ট রয়েছে। 

গঠিত স্ট্যান্ডিং কমিটি-

ফিন্যান্স : চেয়ারম্যান- উইগেন ওয়াংচুক; ভাইস চেয়ারম্যান- কিপা অজয়

কম্পিটিশন : চেয়ারম্যান- সুন্দর নরশিং জোসি; ভাইস চেয়ারম্যান- আমের খান

মার্কেটিং এন্ড কমিউনিকেশন : চেয়ারম্যান- সাজি প্রভাকরণ; ভাইস চেয়ারম্যান-পেমা দর্জি

ডেভলপমেন্ট : চেয়ারম্যান- কাজী সালাউদ্দিন; ভাইস চেয়ারম্যান - কাইতানো জোসে

এজেড/এইচজেএস