দিবালার গোলের পর তাকে জড়িয়ে ধরে রোনালদোর উদযাপন/বেইন স্পোর্টস

ন্যাপোলির বিপক্ষে অনেক কিছুই ঝুঁকিতে ছিল জুভেন্তাসের। হারলেই শিরোপা তো বটেই, শীর্ষ চার নিয়েই টানাটানি পড়ে যেত দলটির। তবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও পাওলো দিবালার কল্যাণে সেটা হয়নি কোচ আন্দ্রেয়া পিরলোর দলের। ২-১ গোলের জয় নিয়ে লিগের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে দলটি।

আগের দুই ম্যাচেই জয়বঞ্চিত ছিল সিরি’আর রেকর্ড টানা ৯বারের চ্যাম্পিয়নরা। নবাগত বেনেভেন্তোর কাছে ১-০ গোলে হারের পর তোরিনোর বিপক্ষে ড্র করেছিল ২-২ গোলে। ন্যাপোলির বিপক্ষে হারলে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলাই পড়ে যেত শঙ্কায়। 

এমন ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন রোনালদো। দানিলোর ক্রসে গোলমুখে থেকেও ঠিকঠাক মাথা ছোঁয়াতে পারেননি তিনি, তা বেরিয়ে যায় পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে।

তবে জুভেন্তাসকে পরে এগিয়ে দিয়েছেন সেই রোনালদোই। ফেদেরিকো কিয়েসার দারুণ নৈপুণ্যের পর পর্তুগীজ তারকা প্রথম স্পর্শেই করে বসেন দারুণ এক নিচু শট, শিরোপাধারীরা পায় তাদের প্রথম গোল। 

বিরতির আগে পরে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি দুই দল। তবে বৃত্তটা ভাঙে ৭২ মিনিটে। বা হাঁটুর চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরেই গোলের দেখা পান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড পাওলো দিবালা। রদ্রিগো বেন্টাঙ্কুরের পাস থেকে বাঁ পায়ের দারুণ এক শটে গোল পান তিনি।

নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে প্রতিপক্ষ বক্সে ফাউলের শিকার হয়ে পেনাল্টি পায় ন্যাপোলি। গোল করেন লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে। তবে তাতে জয় পেতে অবশ্য কোনো সমস্যাই হয়নি পিরলোর দলের।

এই জয়ের ফলে ২৯ ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তিনে উঠে এসেছে জুভেন্তাস, নিঃশ্বাস ফেলছে দুইয়ে থাকা মিলানের কাঁধে। রোনালদোদের চেয়ে এক পয়েন্টে এগিয়ে আছে মিলান। 

ম্যাচটি অবশ্য হওয়ার কথা ছিল গত ৪ অক্টোবর। তবে দলে করোনার সংক্রমণ ধরা পরে ন্যাপোলিতে। এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিধিনিষেধের কারণে সে ম্যাচটা খেলতে তুরিনে যেতেই পারেনি দলটি। যে কারণে ওয়াকওভার পান রোনালদোরা, ন্যাপোলির পকেট থেকেও কাটা পড়ে একটি পয়েন্ট। তবে পরে আপিল করে ন্যাপোলি জেতে, আর ম্যাচটি আয়োজনের সূচি দেওয়া হয় ১৭ মার্চ। দুই দলের অনুরোধে আবারও পেছায় খেলাটি, আয়োজিত হয় ৮ এপ্রিল।

দিনের অন্য ম্যাচে ইন্টারও পেয়েছে একই ব্যবধানের জয়। ২৯ ম্যাচ থেকে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আরও জাঁকিয়ে বসেছে কোচ আন্তনিও কন্তের দল।

এনইউ/এটি