এল ক্ল্যাসিকোয় মেসি ও রোনালদো/ফাইল ছবি

এল ক্ল্যাসিকো, দ্য ক্ল্যাসিক। স্প্যানিশ দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার লড়াই, মর্যাদার লড়াই। অতীতে এ লড়াইয়ের অজস্র ঘটনা একে বানিয়ে দিয়েছে ফুটবল ইতিহাসের পরম আরাধ্য এক লড়াইও। তবে ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত লড়াইগুলো যেন পেয়েছিল বাড়তি মাত্রা। তর্কসাপেক্ষে ইতিহাসেরই সেরা দুই খেলোয়াড় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসির লড়াইয়েরও যে দেখা মিলত এখানে।

তবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ২০১৮ সালে রিয়াল ছেড়ে পাড়ি জমান জুভেন্তাসে, ফলে ছেদ পড়ে এ লড়াইয়ে। এল ক্লাসিকোও হারায় খানিকটা রঙ। রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে দিলে তো ক্ল্যাসিকোয় গোল করার প্রশ্নই ওঠে না। 

তবে রোনালদো চলে যাওয়ার পর যেন মেসিও হয়ে পড়েছেন বড্ড বিবর্ণ। প্রতিদ্বন্দ্বীকে প্রতিপক্ষ দলে দেখেননি শেষ ছয় ক্ল্যাসিকোয়, নিজেও যেন তাই হারিয়েই গেছেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে লড়াই থেকে। শেষ ছয় ক্ল্যাসিকোর একটিতেও নেই গোল, এমনকি সতীর্থদের দিয়ে করাতেও পারেননি তিনি! নামটা যখন লিওনেল মেসি, তখন তার নামের পাশে এমন পরিসংখ্যান তো বড্ড বেমানান! দলও ভুগেছে তাই। শেষ দুই ক্ল্যাসিকোয় হারই নিয়তি হয়েছে দলটির।

প্রতিপক্ষ অধিনায়ক সার্জিও রামোস তো গেল এল ক্ল্যাসিকোর আগে খোঁচাই দিয়ে বসেছিলেন। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, মেসির উপস্থিতি নিয়ে দল চিন্তিত কিনা। রিয়াল অধিনায়কের উত্তর ছিল, ‘রোনালদো চলে যাওয়ার পর থেকে তো তাকে নিয়ে ভাবাই ছেড়ে দিয়েছি আমরা!’

রোনালদো চলে যাওয়ার পর দুই দল মুখোমুখি হয়েছে সাতবার। যার পাঁচটি ছিল লিগে, আর কোপা দেল রেতে দুটো। দল তিনটে ম্যাচে জিতেছে ঠিক, তবে সেগুলো ছিল দল ছেড়ে যাওয়া সতীর্থ লুই সুয়ারেজ, ইভান রাকিটিচ ও আর্তুরো ভিদালদের নৈপুণ্যে। মেসি ছিলেন একেবারে বিবর্ণ। শেষ বছরে দলের মেসি-নির্ভরতা বেড়েছে বহুগুণে। ২০২০ সালে তার নিষ্প্রভতার জেরে দল হেরেছে দুটো ক্ল্যাসিকোয়। 

মেসির শেষ গোলটা এসেছিল সেই ২০১৮ সালে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সর্বশেষ ক্ল্যাসিকোয়। তিন বছরের এই খরা কি আজ কাটাতে পারবেন মেসি? আসন্ন এল ক্ল্যাসিকোর আগে সে প্রশ্ন তাই উঠে আসছে জোরেশোরেই।

এনইউ