এই ম্যাচে খেলছেন না সার্জিও রামোস। তিনি বসে আছেন গ্যালারিতে, কালো সোয়েটার আর ট্রাউজার পরে। উত্তেজনায় খানিক পরপরই উঠে দাঁড়াচ্ছেন, গোল হলে ফেটে পড়ছেন উল্লাসেও। ফাঁকা গ্যালারিতে যেন রঙ ছড়ানোর দায়িত্বটা একাই নিয়েছেন রামোস। হতাশ করছে না তার দলও। এল ক্লাসিকোর প্রথমার্ধ শেষে তারা এগিয়ে দুই গোলে।

ম্যাচের প্রথম পাঁচ মিনিট আধিপত্য ছিল অবশ্য সফরকারী বার্সেলোনারই। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে খেলায় নিজেদের প্রভাব বাড়ায় রিয়াল মাদ্রিদ।

ম্যাচের দশম মিনিটে সুযোগ এসেছিল বার্সার সামনে। বক্সের বাইরে থেকে বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মেসি। সেই বল দেম্বেলেকে ক্রস করেন জর্ডি আলবা। কিন্তু তাতে হাত লাগিয়ে দেন রিয়ালের গোলরক্ষক কর্তোয়া। বল পাননি দেম্বেলে।

১৪তম মিনিটে এগিয়ে যায় রিয়াল। দারুণ দৌড়ের পর ভিনিসিয়াস বল বাড়িয়ে দেন ভালভার্দেকে। তিনি বল বাড়ান অ্যাসেন্সিওর উদ্দেশ্যে। সেখান থেকে ক্রস যায় বেনজেমার কাছে।  অসাধারণ দক্ষতায় স্টেগানকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান তিনি।

পাঁচ মিনিট পর সুযোগ এসেছিল বার্সেলোনার সামনেও। দারুণভাবে দুজনকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন মেসি। বলও হাওয়ায় ভাসিয়েছিলেন দেম্বেলের উদ্দেশ্যে। কিন্তু বলে মাথা লাগাতে পারেননি ফরাসি স্ট্রাইকার।

২৬ মিনিটে বক্সের ঠিক বাইরে ভিনিসিয়াসকে ফাউল করেন আরোহা, দেখেন হলুদ কার্ড। ফ্রি কিক পেয়ে যায় রিয়াল। ফ্রি কিক থেকে টনি ক্রুসের বুলেট গতির শট সার্জিনিও ডেস্টের মাথায় লেগে জড়িয়ে যায় জালে। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে বার্সেলোনা।

সেই লিড আরও বাড়ানোর সুযোগ ছিল রিয়ালের।
৩৪ মিনিটে আবার দ্রুতগতির দৌড় শুরু করেন ভিনিসিয়াস। বল বাড়িয়ে দেন ভালভার্দেকে। তার দ্রুতগতির শট পোস্টে লেগে ফিরে আসলে সঙ্গে সঙ্গে আবার গোলমুখে শট নেন লুকাস ভাস্কুয়েজ। কিন্তু দারুণ সেভে সে যাত্রায় বার্সাকে রক্ষা করেন মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন।

ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে দারুণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল বার্সেনোলারও। লিওনেল মেসির নেওয়া কর্নার অল্পের জন্য জড়ায়নি জালে। এর মিনিট খানেক পর কর্নার থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন মেসি, শটও করেছিলেন। কিন্তু রিয়াল গোলরক্ষক কর্তোয়া সেটি দারুণভাবে ঠেকিয়ে দিলে দুই গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয় বার্সেলোনাকে।

প্রথমার্ধে বল পজিশনে অবশ্য এগিয়ে ছিল বার্সেলোনাই। ৫২ শতাংশ সময় বল পায়ে ছিল তাদের। দুই দলই পেয়েছে সমান সাতটি করে কর্নার কিক। কিন্তু কাজের কাজটি করতে পেরেছে কেবল রিয়াল মাদ্রিদ, পারেনি রোনাল্ড কোম্যানের দল।

এমএইচ/এইচকে