সোহেল রানারা মাত্র দশদিন আগে নেপাল থেকে এসেছেন। আবার তাদের নেপাল যেতে হতে পারে। আগে গিয়েছিলেন জাতীয় দলের জার্সি গায়ে এবার যাবেন আবাহনীর জার্সিতে। ২১ এপ্রিল নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে ঢাকা আবাহনী মালদ্বীপের ক্লাব ঈগলসের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে। 

ঢাকা আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিত দাস রুপু বলেন, ‘আমাদের সাথে অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (আনফা) যোগাযোগ হচ্ছে। মৌখিকভাবে তারা আমাদের খেলার অনুমতি দিয়েছে। আনুষ্ঠানিক চিঠির অপেক্ষায় রয়েছি।’ 

বাংলাদেশে চলমান করোনা পরিস্থিতি ও সর্বাত্মক লকডাউনের জন্য ১৪ এপ্রিল ঢাকায় এএফসি কাপের ম্যাচ খেলতে পারছে না আবাহনী। এএফসির গাইডলাইন অনুযায়ী নিরপেক্ষ ভেন্যুতে না হয় মালদ্বীপে গিয়ে খেলতে হবে তাদের। 

মালদ্বীপের ক্লাব ঈগলসকে নেপালের বিষয়টি ইতোমধ্যে জানিয়ে রেখেছে আবাহনী, ‘আমরা নিরপেক্ষ ভেন্যুর আয়োজন না করতে পারলে মালদ্বীপে তাদের ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে হবে। তাই আমরা ইতোমধ্যে নেপালকে সামনে রেখে কাজ করছি এটি জানিয়েছি মালদ্বীপকে’ বলেন রুপু। 

নেপালে ঢাকা আবাহনী ম্যাচ খেললে সব খরচই তাদের বহন করতে হবে। আনফা কোনো খরচ বহন করবে না। নেপালের সাথে মূলত খরচের বিষয়গুলোই আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে আবাহনী। আজ (রোববার) সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আনুষ্ঠানিক চিঠি দিতে পারেনি নেপাল। 

আগামীকাল সকালে নেপাল থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাওয়ার অপেক্ষায় আবাহনী। আজ ঢাকাস্থ নেপাল দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করার কথা থাকলেও আবেদন করতে পারেনি আবাহনী। আগামীকাল ভিসার জন্য আবেদন করবে তারা। ২১ এপ্রিল ম্যাচের জন্য দুই দিন আগে কাঠমান্ডু রওনা হওয়ার কথা ক্লাবটির।

অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ২১ এপ্রিল আবাহনীকে ভেন্যু ব্যবহারের সুযোগ দিলেও নতুন জটিলতা তৈরি হচ্ছে বিমানের ফ্লাইট নিয়ে। বেসরকারি বিমান চলাচল কতৃপক্ষ (বেবিচক) ১৪ এপ্রিল থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামীকাল এই প্রজ্ঞাপন আসতে পারে। 

সেটা হয়ে গেলে আবাহনীকে নেপালে খেলতে গেলে তখন চাটার্ড বিমান ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। সেক্ষেত্রে অনেক খরচ হবে। এই বিষয়ে রুপু বলেন, ‘এখনো প্রজ্ঞাপন আসেনি। দেখি পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়। তারপর এএফসিকে চিঠি দেব আবার।’ 

এদিকে আজ সন্ধ্যায় আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফুটবলার সানডে চিজোবা কাতার এয়ারলাইন্স যোগে ঢাকায় পৌঁছেছেন। আগামীকাল তাকে করোনা টেস্ট করাবে ক্লাব। এর আগ পর্যন্ত ক্লাবে আইসোলেশনে থাকবেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের এক মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা।

এজেড/এমএইচ