ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহখানেক আগেই লিওনেল মেসি এক ক্লাবে সর্বোচ্চ গোলের দিক দিয়ে পেছনে ফেলেছিলেন ব্রাজিলীয় কিংবদন্তি পেলেকে। এমন কীর্তিতে স্বয়ং পেলেও অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মেসিকে, বার্সা অধিনায়কও ধন্যবাদ জানিয়ে দিয়েছিলেন ইনস্টাগ্রাম পোস্ট। এত কিছুর পর ব্রাজিলীয় দল সান্তোসের দাবি, রেকর্ডটা ভাঙেননি মেসি, ক্লাবের হয়ে পেলের গোলসংখ্যা আরও বেশি! 

সান্তোস জানাচ্ছে, প্রীতি ম্যাচের গোলগুলো ধরা হয়নি এ পরিসংখ্যানে। যে কারণে পেলের রেকর্ডটা ছুঁতে পারেননি মেসি! সম্প্রতি এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ক্লাবের পক্ষ থেকে লেখা হয়, ‘শেষ কিছু দিনে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সান্তোসের জার্সি গায়ে পেলের গোলসংখ্যা নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছে। কিছু পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, আর্জেন্টাইন লিওনেল মেসি এক ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোল করা খেলোয়াড় বনে গেছেন, যখন তিনি ৬৪৪ নম্বর গোলটি করেছেন, যেখানে প্রীতি ম্যাচের গোলসংখ্যা ধরা হয়নি। অথচ এসব গোলকেও অফিসিয়াল গোল হিসেবেই ধরা হয়!’

সান্তোসের দাবি, সেসব গোলকে ধর্তব্যে না এনে অবমাননা করা হয়েছে প্রীতি টুর্নামেন্টগুলোকেও! ক্লাবটির ভাষ্য, ‘পেলেও তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কিন্তু গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রীতি ম্যাচের গোলগুলো ধরা হয়নি, যা হিসেবে পেলেই সর্বোচ্চ গোলদাতা, করেছেন ১০৯১ গোল! বিশেষজ্ঞদের মতে, ও রেই (পেলে) ৬৪৩টি প্রতিযোগিতামূলক গোল করেছেন, আর প্রীতি ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ৪৪৮টি। এসব (প্রীতি) টুর্নামেন্টকে এমন ভাবে অবহেলা করা হয়েছে যেন এরা কম গুরুত্ব বহন করে!’

পেলের ৪৪৮ গোল এসেছে বিভিন্ন দেশের শীর্ষ ক্লাবগুলোর বিপক্ষে। আর তাই সেসব গোলকেও হিসেবে আনার দাবি সান্তোসের, ‘৪৪৮ গোল যা হিসেবে আনা হয়নি, সেগুলো সে সময়ের সেরা ক্লাবগুলোর বিপক্ষে এসেছে। ক্লাব আমেরিকা (মেক্সিকো), চোলো চোলো (চিলি) পেলের কাছ থেকে হজম করেছে ৯ গোল। ১৯৬০এর দশকের সফল ক্লাব ইন্টার মিলানের বিপক্ষে পেলের গোল আটটি। তালিকাটা অনেক বড়, যেখানে আছে রিভারপ্লেট, বোকা জুনিয়র্স, রেসিং, ইউনিভার্সিদাদ দে চিলি, রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্তাস, ল্যাজিও, ন্যাপোলি, বেনফিকা, আন্ডারলেখটের নামও আছে। এমনকি বার্সেলোনা, যেখানে মেসি খেলে, তাদের বিপক্ষেও পেলে চার ম্যাচে চারটি গোল করেছেন।’

সান্তোসের দাবি মেনে যদি হিসাবে আনা হয় ৪৪৮টি গোলকেও, তাহলে মেসির সে রেকর্ড ভাঙাটা মহা কঠিন হয়ে পড়বে বৈকি!

এনইউ