১৪ মে এএফসি কাপের চূড়ান্ত পর্ব শুরু। চূড়ান্ত পর্ব শুরুর আগে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলোকে খেলোয়াড়দের নিবন্ধন করতে হয়। বসুন্ধরা কিংস তাদের খেলোয়াড়দের নাম এএফসির কাছে পাঠিয়েছে। এখনো বাংলাদেশের পাসপোর্ট না হওয়ায় নাইজেরিয়ান থেকে বাংলাদেশি হওয়া এলিটা কিংসলেকে নিবন্ধন করাতে পারেনি কিংস। 

কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান কিংসলেকে নির্দিষ্ট সময়ে নিবন্ধন না করতে পারার কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘লকডাউনের জন্য কিংসলের পাসপোর্ট পেতে খানিকটা দেরি হচ্ছে। হয়তো সপ্তাহ খানেক বা দশ দিন পরেই পেয়ে যাব।’

১৪ এপ্রিল এএফসি কাপে খেলোয়াড় নিবন্ধনের শেষ দিন। এর মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া আর সম্ভব নয়। ফলে এএফসি কাপে কিংসলের খেলা সম্ভব হচ্ছে না। এরপরও এলিটা কিংসলেকে মালদ্বীপে নিয়ে যেতে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে কিংস জানালেন সভাপতি ইমরুল হাসান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের জানা মতে, এএফসি কাপে সাত দিন আগ পর্যন্ত খেলোয়াড় পরিবর্তন করা যায়। কিংসলের জন্য আমরা সেই চেষ্টাটা করব। পাসপোর্ট হয়ে গেলে এএফসির সাথে যোগাযোগ করে অন্য কারো বদলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করব। আমরা এখনো আশা ছাড়ছি না।’

কিংসলেকে নিবন্ধন করাতে না পারলেও কাতার প্রবাসী ওবায়দুর রহমানকে এএফসি কাপের জন্য নিবন্ধন করিয়েছে কিংস। স্কোয়াডে থাকা প্রায় সকল ফুটবলারকেই মালেতে নিতে চায় কিংস, ‘ওবায়দুর ও নরওয়ে প্রবাসী ফুটবলারের পাসপোর্ট রয়েছে। তাদের আমরা নিবন্ধন করিয়েছি। সাধারণত রেজিস্ট্রেশন ৩০ জন হলেও এবার করোনার জন্য ৩৫ জনকে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ দিয়েছে। স্কোয়াডের সবাইকে আমরা মালেতে নিতে চাই। করোনা ইস্যু ছাড়াও ইনজুরির বিষয়ও থাকতে পারে। এজন্য বিকল্প নিয়ে মালেতে যাওয়ার পরিকল্পনা আমাদের’ বলেন ইমরুল।
 
১৪ মে এএফসি কাপে কিংসের প্রথম ম্যাচ। টুর্নামেন্ট শুরুর এক সপ্তাহ আগেই মালদ্বীপে পৌঁছানোর পরিকল্পনা কিংসের। গত আসরে এএফসি কাপে প্রথম ম্যাচেই ৫-১ গোলে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসকে হারিয়েছিল কিংস। আর্জেন্টাইন হার্নান বার্কোস করেছিলেন হ্যাটট্রিক। এক ম্যাচ পরেই করোনার জন্য টুর্নামেন্ট পন্ড হয়ে যায়। 

এজেড/এমএইচ