চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যারাথন এক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে চলতি বছরের ইতি টানছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। যা চলতি ফুটবল ক্যালেন্ডারে তাদের শেষ ম্যাচ। ব্রাজিলকে হারানো এই ম্যাচ দিয়ে দলের প্রধান তারকা লিওনেল মেসি সুখস্মৃতি নিয়ে ফিরতে পারতেন। তবে গ্যালারিতে সমর্থকদের ওপর পুলিশের মারধর তাকে করেছে ক্ষুব্ধ ও বিমর্ষ। একইসঙ্গে আরেকটি দুঃসংবাদও পেয়েছেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা। সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন জানিয়েছে, মেসি পেশির ইনজুরিতে ভুগছেন।

ব্রাজিলের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে আজ (বুধবার) ঐতিহ্যবাহী মারাকানায় সুপার ক্লাসিকোতে মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা। যেখানে বল দখলে এগিয়ে থাকা আলবিসেলেস্তেরা ম্যাচটি ১-০ গোলে জয় দিয়ে শেষ করেছে। তবে ম্যাচের পুরো ৯০ মিনিট মেসি মাঠে ছিলেন না। পায়ের পেশিতে ব্যথা অনুভূত হওয়ায় ৭৮ মিনিটে তার বদলি নামানো হয় আনহেল ডি মারিয়াকে। সমর্থকদের ওপর পুলিশ মারধর করার সময় মেসি সেই ব্যথা পেয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

পায়ের প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফের মাঠে নামেন মেসি

সমর্থকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের সময় আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা সেটি থামাতে গ্যালারির কাছে ছুটে যান। সেখানেই পায়ের কুঁচকিতে ব্যথা পান বলে জানিয়েছেন মেসি, ‘আমি পায়ে অস্বস্তি বোধ করছিলাম। তবে এটি বছরের শেষ ম্যাচ হওয়ায় ২০২৪ সালে নতুন করে সবকিছু শুরু করার জন্য আমার হাতে যথেষ্ট সময় রয়েছে। সংঘর্ষ না থামায় আমরা লকার রুমে চলে যাই, তখনও পায়ের ব্যথা কমছিল না। যদিও পরে আমরা ম্যাচ খেলার জন্য ফিরে আসি।’

এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধেও মেসিকে টাচলাইনের কাছে গিয়ে পায়ের চিকিৎসা নিতে দেখা যায়। একইসঙ্গে কিছুটা ঘাটতি দেখা যায় তার ফিটনেসেও। ৩৬ বছর বয়সী মেসি এখনও ফিট থাকলে প্রায় ম্যাচেই পুরো ৯০ মিনিট খেলে যাচ্ছেন। ব্রাজিল ম্যাচের আগে গত বৃহস্পতিবার পেরুর বিপক্ষে খেলা ম্যাচ দিয়ে গত ২১ অক্টোবরের পর থেকে আর্জেন্টিনার হয়ে প্রতিটি ম্যাচই ৯০ মিনিট মাঠে ছিলেন মেসি। যদিও চলতি মৌসুমের মাঝে তাকে বেশ কয়েকবার চোট নিয়ে সংগ্রাম করতে হয়েছে। 

এদিন ম্যাচ শেষে মেসি জানান, ‘আমরা একটা পরিবার। পরিস্থিতি শান্ত করতেই আমরা ফের মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আজ রাতে আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছি। কিন্তু এটা বলা গুরুত্বপূর্ণ যে, এই ম্যাচ আরও একবার আর্জেন্টাইনদের প্রতি ব্রাজিলিয়ানদের মনোভাব চিহ্নিত করে দেবে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এসব অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।’

ব্রাজিলের বিপক্ষে ইনজুরিপ্রবণ মেসিকে সেভাবে বল নিয়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে দেখা যায়নি। বল দখলে এগিয়ে থাকলেও তার দলও গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি সেভাবে। অন্যদিকে মারমুখী ভঙ্গিতে খেলা ব্রাজিল গোলের সহজ সুযোগও হাতছাড়া করেছে। এক পর্যায়ে ম্যাচের ৬৩ মিনিটে লো সেলসোর কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে হেড দেন আর্জেন্টিনার নিকোলোস ওটামেন্ডি। সেই গোলেই বাছাইপর্বে দীর্ঘ সময় পর ঘরের মাঠে হার নিশ্চিত হয় ব্রাজিলের।

এএইচএস