ষষ্ঠবারের মতো দেশকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে ভাসিয়েছেন প্যাট কামিন্সের অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। তবুও অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ ক্রীড়া পুরস্কার ‘দ্য ডন’ জেতা হয়নি কামিন্সদের। তাদের টপকে সেই পুরস্কার বাগিয়েছে নারী ফুটবলাররা। মেয়েদের সর্বশেষ বিশ্বকাপে যৌথভাবে আয়োজক ছিল অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। যেখানে দারুণ পারফরম্যান্স করেছিল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। স্যাম কারের দলটি সেমিফাইনালে গিয়ে ইংল্যান্ডের কাছে হারার আগে বিশ্বকাপে গোটা দেশের আগ্রহ কেড়েছিল। যা তাদের এমন কীর্তি গড়তে অনন্য ভূমিকা রেখেছে।

অস্ট্রেলিয়া নারী ফুটবল দলকে এবার এই পুরস্কার দেওয়ার কারণ হিসেবে দ্য স্পোর্ট অস্ট্রেলিয়া হল অব ফেম বলছে, ‘মাটিলডারা (নারী ফুটবল দলটির জন্য ব্যবহৃত নিকনেম) একটা দারুণ পরিবর্তন এনেছে—নারী ফুটবল বদলে দেওয়া, দেশকে ঐক্যবদ্ধ করা, পরবর্তী প্রজন্মকে উজ্জীবিত করা এবং অনেকদিন ধরেই জাতীয় একটা পরিচয় পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের খেলাধুলাকে টেনে তোলার ক্ষেত্রে।’

জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে এ পুরস্কার চালু হওয়ার পর থেকে মাত্র তৃতীয় কোনো দল হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার নারী ফুটবল দল জিতল ‘দ্য ডন অ্যাওয়ার্ড’। কিংবদন্তি ক্রিকেটার ডোনাল্ড ‘ডন’ ব্র্যাডম্যানের নামে প্রবর্তিত ‘দ্য ডন অ্যাওয়ার্ড’ দিয়ে আসছে দ্য স্পোর্ট অস্ট্রেলিয়া হল অব ফেম। এর আগে ২০০৬ সালে পুরুষ ফুটবল দল ও ২০২০ সালে নারী ক্রিকেট দল এ পুরস্কার জিতেছিল। যদিও ফুটবল বিশ্বকাপে প্রথম কোনো অস্ট্রেলিয়ান দল হিসেবে এবার এত দূর পৌঁছান স্যাম কাররা। গতবার ডন অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন টেনিস তারকা অ্যাশলেই বার্টি, যিনি ইতোমধ্যে অবসরে নিয়েছেন।

এবার অনেকেই ধারণা করেছিলেন, কামিন্সরাই এমন সম্মানে ভূষিত হবেন। যারা পুরো বছর জুড়ে সোনালী সময় পার করেছে। জিতেছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, ধরে রেখেছে অ্যাশেজ, এরপর সর্বশেষ গত মাসে ভারতের মাটিতে জিতেছে রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ।

অস্ট্রেলিয়ার প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া এবারের অ্যাওয়ার্ড নিশ্চয়ই ক্রীড়াঙ্গনে নারীদের দারুণ অনুপ্রেরণা জোগাবে। অবশ্য বিশ্বকাপজুড়ে স্যাম কারের নেতৃত্বাধীন মাটিলডারা দেশটিতে বেশ আলোড়ন তুলেছিল। তাদের অনন্য পারফরম্যান্সের টানে গ্যালারিও হয়েছিল দর্শকে প্রায় হাউসফুল। প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষ সরাসরি মাঠে বসে খেলা দেখতে হাজির হয়েছিলেন। এছাড়া টিভি ও অনলাইন সাইটেও তাদের উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া। 

এএইচএস